রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের ‘পটকা ফাঁদে’ ধরাশায়ী ইসরায়েল

প্রকাশিত : ০৮:২৬ পূর্বাহ্ণ, ১৯ জুন ২০২৫ বৃহস্পতিবার ৪৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইরানের ‘পটকা ফাঁদে’ পড়েছে ইসরায়েল। এই পটকা ফাঁদ বা ডিকয় ক্ষেপণাস্ত্রের কৌশলে ধরা খেয়ে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে।

ফলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর ক্ষমতা কমে আসছে নেতানিয়াহুর সামরিক বাহিনীর।

ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর ক্ষমতা কমে আর এই তথ্য প্রকাশ হয়েছে খোদ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে।

মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, ইসরায়েলিদের অন্যতম শক্তিশালী অ্যারো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফুরিয়ে আসছে।

ইসরায়েলের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পেছনে কাজ করেছে ইরানের এক দুর্দান্ত ফাঁদ।

এর ফলে আর মাত্র ১০ থেকে ১২ দিনেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ফুরিয়ে আসবে বলে খবর প্রকাশ করেছে আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াাশিংটন পোস্ট।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ‘মিসাইল প্রতারণা’ বেশ পরিচিত। একে অনেকে পটকা ফাঁদও বলে।

এই পটকা ফাঁদে যে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়, তাকে বলা হয় ‘ডিকয় ক্ষেপণাস্ত্র’। এটি আসল ক্ষেপণাস্ত্রের মতো দেখতে এবং আসল ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই আচরণ করে।

কিন্তু এটি মূলত শত্রুর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বিভ্রান্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে এটি আসলে ভুয়া ক্ষেপণাস্ত্রের ফাঁদ।

মূলত কোথাও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার সময় ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে ধাতব পটকা নিক্ষেপ করা হয়।

এই ধাতব পটকা থেকে আগুন বের হতে থাকে। ফলে ইসরায়েলের আয়রন ডোমের মতো অন্যান্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলো যখন এই ধাতব পটকা শনাক্ত করে, তখন সেটা আসল ক্ষেপণাস্ত্র মনে করে। তখন সেটিকে বিধ্বস্ত করতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষিপ্ত হয়।

এভাবে প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র যখন ধাতব পটকার দিকে যেতে থাকে বা সেটা বিস্ফোরণ ঘটায়, তখনই দ্রুতগতিতে আসল ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে।

ইসরায়েলের আয়রন ডোম থেকে প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র বের হয়ে গেলে সেই আয়রন ডোম নতুন করে লোড করতে ১০ থেকে ১১ মিনিট সময় লাগে।

কিন্তু ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র আয়রন ডোমে শনাক্ত হওয়ার মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যেই তা ইসরায়েলের ভূমিতে আঘাত হানে।

এ জন্য ইরান হাইপারসনিক নিক্ষেপের আগে ইসরায়েলের আয়রন ডোমকে পটকা ফাঁদে ফেলে খালি করে নেয়। পরে সফলভাবে হাইপারসনিক আঘাত করে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT