রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

প্রকাশিত : ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ, ১৩ জুন ২০২৫ শুক্রবার ৪১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইরানে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্বদিকে বেশ কয়েকটি বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরা এই খবর প্রকাশ করেছে।

ইরানে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে কয়েক ডজন বিমান দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। তারা এটিকে উচ্চমানের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি ‘সুনির্দিষ্ট এবং পূর্বপ্রস্তুতি সম্পন্ন সমন্বিত হামলা’ বলছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের মিশন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত যতদিন প্রয়োজন এ অভিযান চলবে।

এদিকে হামলার পর তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। তবে ইসরায়েলি হামলার ফলে বিমানবন্দরটি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তুর পাশাপাশি তেহরান এবং অন্যান্য শহরের আবাসিক এলাকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। বিবিসি, আলজাজিরা, রয়টার্স ও ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

হামলায় ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

ইরানের রাজধানীতে স্থানীয় সময় ‍শুক্রবার (১৩ জুন) ভোর ৩টার দিকে আলজাজিরার সংবাদদাতারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। দেশটির রাজধানীতে ছয় থেকে ৯টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। সংবাদদাতা ব্যক্তিগতভাবে কমপক্ষে দুটি বিস্ফোরণের কথা নিশ্চিত হয়েছেন।

তবে এই বিস্ফোরণগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে নয় বরং শহরের বিভিন্ন অংশে ঘটেছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিস্ফোরণের ঘটনা নিশ্চিত করেছে এবং বিভিন্ন স্থানের ফুটেজ দেখিয়েছে। যেখান থেকে স্পষ্টভাবে ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে।

আলজাজিরার সংবাদদাতা জানান, আমরা এখন পর্যন্ত রাজধানীর পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অংশ, মহাল্লাতিতে, শহরের উত্তর-পূর্ব অংশে হামলার খবর শুনেছি। এগুলো আবাসিক এলাকা হিসাবে পরিচিত এবং সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের স্বজনরা এসব এলাকার বাসিন্দা।

কিছু ফুটেজ থেকেও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ভবনগুলো সম্পূর্ণ আবাসিক। অন্যান্য বেসামরিক নাগরিকও এখানে থাকেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT