রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীমান্তে জড়ো হচ্ছে হাজার হাজার সেনা, সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা

প্রকাশিত : ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ, ১৩ জুন ২০২৫ শুক্রবার ৫২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইরানে পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তুসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার পর সীমান্তে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে ইসরায়েল। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দখলদাররা সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রধান ইয়াল জামিরের বক্তব্যে যা স্পষ্ট।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রধান বলেছেন- হাজার হাজার সৈন্যকে সীমান্তে একত্রিত করা হচ্ছে। এক টেলিভিশন ভাষণে ইয়াল জামির বলেন, সমস্ত সীমান্ত জুড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যে কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করবে তাকে চরম মূল্য দিতে হবে।

জামির বলেন, হে ইসরায়েলের জনগণ, আমি নিরঙ্কুশ সাফল্যের প্রতিশ্রুতি দিতে পারি না। ইরানি সরকার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আমাদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করবে। আমাদের থেকে প্রত্যাশিত হামলা আরও ভয়াবহ হবে। আমরা আগে যা ব্যবহার করে হামলা করেছি এবার তার থেকে আলাদা কিছু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাস্তব এবং বর্তমান হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি অর্জনের জন্য সমস্ত শাখা এবং অধিদপ্তরে অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা রয়েছে।

সীমান্তে জড়ো হচ্ছে হাজার হাজার সেনা, সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা ইরানের রাজধানীতে স্থানীয় সময় ‍শুক্রবার (১৩ জুন) ভোর ৩টার দিকে হামলা করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ২ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।

ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচি এবং ফেরেদুন আব্বাসি নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল হোসেইন সালামি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, তেহরানে বিপ্লবী গার্ডের সদর দপ্তর ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমও ঘটনাস্থল থেকে আগুন এবং ধোঁয়া বের হওয়ার খবর দিচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী টাইমস অব ইসরায়েল পত্রিকাকে জানিয়েছে, তারা ‘নেশন অব লায়ন্স’ নামের একটি বিমান অভিযানের মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, ইরান থেকে আসা তাৎক্ষণিক হুমকির জবাবে এই অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তুর পাশাপাশি তেহরান এবং অন্যান্য শহরের আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT