রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিম তীর সফরে যেতে না দেওয়া ইসরাইলের উগ্রবাদীতার প্রমাণ: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ, ২ জুন ২০২৫ সোমবার ৫৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় আরব মন্ত্রীদের যেতে না দেওয়া ‘ইসরাইলের উগ্রবাদীতার প্রমাণ’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে সৌদির নেতৃত্বে ৬ আরব দেশ ও তুরস্কের বৈঠক ইসরাইলি বাধায় পশ্চিম তীর থেকে সরিয়ে জর্ডানের আম্মানে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। এ সময় ইসরাইলের কড়া সমালোচনা করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে আরব মন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলকে অনুমতি দিতে ইসরাইলি সরকারের অস্বীকৃতি তাদের ‘চরমপন্থা এবং শান্তির প্রতি প্রত্যাখ্যান’ প্রকাশ করেছে।

সৌদি মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পশ্চিম তীরে বৈঠক ঠেকিয়ে তারা দেখিয়েছে- শান্তি নয়, দমননীতিতেই বিশ্বাস করে তারা। ইসরাইলের এই অহংকার আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণের ইচ্ছাকে শক্তিশালী করে। ‘

এর আগে শনিবার ইসরাইল জানায়, রোববারের পরিকল্পিত বৈঠকে জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রীদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেবে না তারা। এক ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রচারের জন্য একটি ‘উসকানিমূলক বৈঠকে’ অংশ নিতে চেয়েছিলেন।

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, ‘এই সফরে বাধা দেয়ার ফলে ইসরাইল ‘ন্যায়সঙ্গত আরব-ইসরাইলি মীমাংসার যেকোনো সুযোগকে হত্যা করছে।’

মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি বৈঠকের আগে বলেন, ‘সম্মেলনে গাজায় যুদ্ধবিরতির পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমিতে থাকা নিশ্চিত করার জন্য পুনর্গঠন পরিকল্পনা এবং তাদের উচ্ছেদের যেকোনো ইসরাইলি পরিকল্পনা ব্যর্থ করার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ব্যাপক দমন-পীড়ন ও হামলার কারণে জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছে ইসরাইল। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও আরব-ইউরোপের দেশগুলো ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংকট নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে মত দিয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT