রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিজস্ব প্রযুক্তিতে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাডার উন্মোচন করল ইরান

প্রকাশিত : ০৪:৩৮ অপরাহ্ণ, ২৫ মে ২০২৫ রবিবার ৫২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

পশ্চিমা নানা নিষেধাজ্ঞার মুখেও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আবাদান বিমানবন্দরে নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাডার সিস্টেম ‘এমএসএসআর-মোড এস’ স্থাপন করেছে ইরান।

প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে রাডারটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। রোববার (২৫ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মেহর নিউজ।

ইরানের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই উন্নত রাডার সিস্টেমটি আঞ্চলিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করবে।

ইরান এয়ারপোর্টস অ্যান্ড এয়ার ন্যাভিগেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমিরানি প্রেস টিভিকে জানান, সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই মনোপালস সেকেন্ডারি সার্ভেইলেন্স রাডার (এমএসএসআর) সিস্টেমটির নকশা ও উৎপাদনে ইসফাহান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

তিনি বলেন, এই রাডার সিস্টেমটি দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ৪৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে নজরদারি করতে পারবে।

এই প্রকল্পে সরকার প্রায় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৭.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয় করেছে, যা আমদানি খরচের তুলনায় এক মিলিয়ন ইউরো সাশ্রয় করেছে বলে জানান আমিরানি।

তিনি বলেন, এই রাডার স্থাপন ইরানের বিমান চলাচল খাতে আত্মনির্ভরতা ও অগ্রগতির পথে একটি বড় মাইলফলক।

রাডার স্থাপনটি ইরানের বিমান পরিবহন খাতে দেশীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি অংশ, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও জোরালো হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিদেশি প্রযুক্তি ও বিনিয়োগে সীমাবদ্ধতার প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশটি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানি কোম্পানিগুলো নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্রাউন্ড হওয়া এক ডজনের বেশি বিমান মেরামত করতে সক্ষম হয়েছে এবং তারা বিদেশি এয়ারলাইনের জন্য ওভারহল ও ইন্সপেকশন সেবা দিচ্ছে।

২০২৪ সালের শেষ দিকে ইরানি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, বোয়িং ও এয়ারবাস বিমানের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ উৎপাদনের প্রযুক্তি তারা আয়ত্ত করেছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT