রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে যা বললেন মোদি

প্রকাশিত : ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ, ১৩ মে ২০২৫ মঙ্গলবার ১০২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধ ঘিরে প্রথমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে দেওয়া ভাষণের শুরুতে তিনি পেহেলগামে হামলার ঘটনায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও তাদের অভিযানের প্রশংসা করেছেন। মোদি বলেছেন, একজন নারীর সিঁদুর মুছে ফেলার মূল্য কতটা চড়া হতে পারে তা সশস্ত্র বাহিনীর পদক্ষেপে নিশ্চিত হয়েছে।

এছাড়া কোনও ধরনের পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করা হবে না বলেও হুমকি দিয়ছেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

মোদি বলেন, আর সন্ত্রাসবাদীদের চোখরাঙানি সহ্য করবে না ভারত। পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয় ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে। ‘টেরর’ ও ‘টক’ (সন্ত্রাস এবং আলোচনা) একসঙ্গে চলতে পারে না। পানি এবং রক্ত একই সঙ্গে বইতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বে বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা একই সুতোয় বাধা। তাই ভারতের হামলায় সন্ত্রাসবাদের ‘হেড কোয়ার্টার’ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান হতাশ। ওরা নিরাশায়। এই অবস্থায় ওরা আরও একটা ভুল করেছে। ভারতের সঙ্গ দেওয়ার বদলে ভারতের উপরেই হামলা করল!

তিন দিনে পাকিস্তানকে যা করা হয়েছে, যা ওরা ভাবতেই পারেনি। এখন তারা বাঁচার রাস্তা খুঁজছে। দেশে দেশে ঘুরছে। খারাপ ভাবে হেরে যাওয়ার পরে ১০ মে পাকিস্তানি সেনা আমাদের ডিজিএমও-র দ্বারস্থ হন। তার আগে আমরা পাকিস্তানের মাটিতে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছি।

এদিকে জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক অপারেশনের প্রধান কর্মকর্তাদের (ডিজিএমও) মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়েছে। পারমাণবিক শক্তিধারী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে গত সপ্তাহে তীব্র সংঘর্ষের ও শনিবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর এটিই প্রথম সরাসরি যোগাযোগ।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ বিষয়ে এখনো কোনো বিস্তারিত বিবৃতি দেয়নি পাকিস্তান। তবে তারা দুই পক্ষই শান্তি রক্ষায় আন্তঃসংশ্লিষ্ট যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলে নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে বন্ধে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ৩২টি বিমানবন্দর খুলে দিয়েছে ভারত। এগুলোর মধ্যে শ্রীনগর, জম্মু, চন্ডীগড়, অমৃতসর, জয়সলমির, যোধপুর, জামনগর ভুজসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর রয়েছে। সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়। সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, যে ৩২টি বিমানবন্দরকে ১৫ মে পর্যন্ত বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল, তা খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বিমানযাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনের সঙ্গে কথা বলে বা ওয়েবসাইটে তাদের আপডেট দেখেই বিমানবন্দরে যান।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT