রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার শিশুদের চোখের আলো কেড়ে নিচ্ছে ইসরাইলের সেনারা

প্রকাশিত : ০৯:০৩ পূর্বাহ্ণ, ৬ মে ২০২৫ মঙ্গলবার ৪৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মার্চ মাসের ২৫ তারিখ। গাজার বেইত লাহিয়ায় সকালটা ছিল অন্যসব দিনের মতোই। ঘরের বাইরে খেলতে বের হয় সাত বছরের মোহাম্মদ হিজাজি। একটুখানি আনন্দের খোঁজে। চারপাশে ধ্বংস, শ্বাসরুদ্ধ বাতাস, অজানা আতঙ্ক- তবুও শিশুদের মন তো যুদ্ধ মানে না। কিন্তু সেদিনের সকালটা আর স্বাভাবিক রইল না। হঠাৎ, এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে গোটা এলাকা। মুহূর্তেই নেমে আসে নীরবতা। তারপর চিৎকার। নিভে গেল মোহাম্মদের ডান চোখের আলো। থমকে গেল সেই নিষ্পাপ শিশুর শৈশব। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে একের পর এক হামলা, আর অবিস্ফোরিত বোমায় গাজার শিশুদের চোখের আলো কেড়ে নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। এপি।

বিস্ফোরণের পর মোহাম্মদের বাবা খালেদ হিজাজি, ছুটে যান সেখানে। তিনি দেখতে পান, রক্তাক্ত ছেলের ছোট্ট দেহটা পড়ে আছে মাটিতে। আশপাশে আরও কিছু শিশুর কান্নাও শোনা যাচ্ছিল। কেউ আবার একেবারে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে। বিস্ফোরণটা ঘটেছিল এক অবিস্ফোরিত বোমার কারণে। যেটি ইসরাইলি বাহিনী তাদের সামরিক অভিযানের সময় রেখে গিয়েছিল। তার ডান চোখটা আর কখনো আলো দেখবে না। ডাক্তাররা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু গাজার সীমাবদ্ধ চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে অনেক চেষ্টা করেও তারা কিছু করতে পারেননি। পরে তাকে একটি বিশেষ চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু তার অবস্থার উন্নতি হয়নি।

ফিলিস্তিনি কিশোরী মাইসা আল-গানদুরও একই পরিস্থিতির স্বীকার হয়। একসময় স্বপ্ন দেখত চিকিৎসক কিংবা শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু মাত্র ১৪ বছর বয়সে এক ইসরাইলি হামলায় তার চোখের দৃষ্টিও চলে গেছে। মাইসা বলেছে, ‘আমরা গাজায় আর জীবনযাপন করছি না। কেবল মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের জীবন মৃত্যুতে পরিণত হয়েছে।’ মাইসা, তার ছোট বোন ইয়ারা (৯) ও ভাই মোহাম্মদ (১১) তিনজনই ২৬ জুলাই গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের আল-কারারা শহরের ইলাবুন হাইস্কুলে এক গোলাবর্ষণে আহত হয়।

ইসরাইলি বাহিনীর ওই হামলায় তাদের শরীরে ছিন্নবিচ্ছিন্ন শার্পনেলের টুকরো বিদ্ধ হয়। মাইসার দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়। ইয়ারা এক চোখ হারিয়ে ফেলে। আর মোহাম্মদ মাথায় মারাত্মক আঘাত পায়। তাদের পরিবার কয়েকবার বাসস্থান ছেড়ে পালিয়ে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার আশায় ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু সেই আশ্রয়স্থলেও নেমে আসে মৃত্যুর ছায়া।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT