সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারকে অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করছে ১৩ দেশ

প্রকাশিত : ০৭:০৩ পূর্বাহ্ণ, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার ১৩৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মিয়ানমার ব্যাপকহারে অস্ত্র উৎপাদন করছে। আর এসব অস্ত্র তারা ব্যবহার করছে সাধারণ জনগণের ওপর।
জাতিসংঘ কর্মকর্তা একথা উল্লেখ করে বলেন, এসব অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করছে বিশ্বের ১৩টি দেশের সমরাস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরও তারা এ সহায়তা করে যাচ্ছে।

বিবিসির নিউজে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত এসব অস্ত্র দেশটিতে যারা জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর যেসব নৃগোষ্ঠী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠী জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গেছে তাদের বিরুদ্ধেও এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

জাতিসংঘের স্পেশাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল অন মিয়ানমার সোমবার ‘ফেটাল বিজনেস : সাপ্লাইং দ্য মিয়ানমার মিলিটারিস ওয়েপন প্রোডাকশন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপান, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ভারত, অস্ট্রিয়া, তাইওয়ান এবং চীনসহ মোট ১৩টি দেশের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

মিয়ানমারকে একঘরে করা ছাড়াও জাতিসংঘের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিশ্বের ১৩টি দেশের সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় নিয়মিতই বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উৎপাদন করে যাচ্ছে দেশটি। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে স্নাইপার রাইফেল, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান, মিসাইল লঞ্চার, গ্রেনেড, বোমা এবং বিভিন্ন ধরনের ল্যান্ড মাইন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমানভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-‘মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী এখন দেশেই বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উৎপাদনে সক্ষম, যা দেশটির সাধারণ জনগণের ওপরই ব্যবহার করা হয়।’ এসব অস্ত্র কখনোই দেশটির সীমান্ত রক্ষায় ব্যবহৃত হয়নি।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ইয়াং হে লি বলেছেন, ‘মিয়ানমার কখনোই বৈদেশিক শক্তি দ্বারা আক্রান্ত হয়নি এবং তারা অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশও নয়। তারপরও ১৯৫০ সাল থেকে দেশটি নিজস্ব উৎস থেকে অস্ত্র উৎপাদন করে যাচ্ছে এবং নিজেদের জনগণের ওপরই ব্যবহার করছে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দশকের পর দশক মিয়ানমার আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় থাকলেও দেশটি কখনই অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ রাখেনি; বরং ক্রমেই বাড়িয়েছে। ১৯৮৮ সালে দেশটিতে মাত্র ৬টি সমরাস্ত্র কারখানা ছিল। আর এখন ৩০ বছরের ব্যবধানে ২০২২ সাল শেষে দেশটিতে এরকম অন্তত ২৫টি কারখানা রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র তৈরি করা হয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT