সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ মে সৌদি সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প

প্রকাশিত : ০৮:২৯ পূর্বাহ্ণ, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার ৫৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আরাব নিউজের।

তিনি জানান, আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে মধ্যপ্রাচের ওই তিন দেশ সফর করবেন ট্রাম্প।

লেভিট জানান, পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে শুক্রবার রোমে যাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই হবে তার প্রথম বিদেশ সফর।

ট্রাম্প যখন আগামী মাসে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাবেন, তখন তিনি এমন এক মধ্যপ্রাচ্য দেখবেন, যা আট বছর আগে তার প্রেসিডেন্সির প্রথম মেয়াদে দেখা মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় অনেকটাই আলাদা।

চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা এখন অনেকটাই কমে গেছে। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ প্রায় শেষের পথে। আইএস এখন আর ওই অঞ্চলে শক্তিশালী কোনো সন্ত্রাসীদল নয়।

তবে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সফরের সূচিতে ইসরাইলের নাম না থাকায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।

ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ফিলিস্তিনের গাজায় ধ্বংসাত্মক অবরোধ ও ক্রমাগত বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে দেওয়ার যে পরিকল্পনার কথা ট্রাম্প বলেছিলেন, তা আরব বিশ্বের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছে।

একই সময়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের জন্য আরব লিগ-সমর্থিত পুনর্গঠন পরিকল্পনার বিষয়ে ওয়াশিংটন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই মতপার্থক্যগুলো সম্ভবত ট্রাম্প এবং তার সফরের দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে।

মার্কিন শুল্কনীতি ও বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধনী উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে আরও বেশি বিনিয়োগ টানার চেষ্টা ট্রাম্প অনেক আগে থেকেই করে আসছেন।

আরব দেশগুলো ইতোমধ্যে তেহরান ও ওয়াশিংটনের সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে যদি আগামী মাসের মধ্যে এই আলোচনা ভেস্তে যায়, তাহলে ট্রাম্প হয়ত আবারও ইরানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক চাপ প্রয়োগের জন্য আরব মিত্রদের সমর্থন চাইবেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT