সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা

প্রকাশিত : ০৫:১৪ অপরাহ্ণ, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার ১৪৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার চলমান যুদ্ধ নিয়ে এমনিতেই বিশ্বে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোরীয় উপদ্বীপ। মূলত, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, সোমবার সকালে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া কোরীয় উপদ্বীপের জলসীমায় আরও দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। এর আগে শনিবার একটি দীর্ঘপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দেশটি।

জাপানের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ধারণা করা হচ্ছে— দুটি ক্ষেপণাস্ত্র স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৭টার দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র দুটি কোরীয় উপদ্বীপের পূর্বে জাপান সাগরে পতিত হয়েছে। তবে এগুলো জাপানের বিশেষায়িত (এক্সক্লুসিভ) অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে পড়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ং এটিকে সুপার-লার্জ মাল্টিপল রকেটলঞ্চার এক্সারসাইজ বলে অভিহিত করেছে। যাকে মূলত, কৌশলগত পারমাণবিক হামলার সঙ্গে তুলনা করা যায়।

উত্তর কোরিয়া বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বিমান মহড়ার জবাবে এই অনুশীলন পরিচালনা করা হয়েছে।

এর আগে রোববার যৌথ বিমান মহড়া চালায় দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে ‘নজিরবিহীন প্রতিক্রিয়ার’ যে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তার জবাবে এই মহড়া চালানো হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, রোববারের মহড়ায় উভয়দেশের এফ-৩৫, এফ-১৫ এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। আর এসব বিমানের নিরাপত্তায় (এস্কর্ট) যুক্তরাষ্ট্র বিমানবাহিনীর বি-১বি বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া জাপানও যৌথ মহড়ায় অংশ নেয়।

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, আসছে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে যৌথ মহড়ার পরিকল্পনা করছে সিউল ও ওয়াশিংটন। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া বিষয়টি জানিয়ে বলে, সম্ভবত এটি হচ্ছে— দুই দেশের মধ্যকার এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় যৌথ মহড়া।

সিউলের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানোর পরই ক্ষেপে যায় পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে গত শুক্রবার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যদি এমন মহড়া চালানোর দিকে অগ্রসর হয়, তা হলে নজিরবিহীন প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে। এর পর দিন শনিবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দেশটি।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে রোববার যৌথ মহড়া চালায় দক্ষিণ কোরিয়া ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। আর এর জবাবে আজ সোমবার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল কিমের দেশ। অর্থাৎ মহড়া ও পাল্টা মহড়ায় হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোরীয় উপদ্বীপ।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT