রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুসলিম নারী সিনেটরকে হেনস্তার অভিযোগ অস্ট্রেলিয়ায়

প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ২৯ মে ২০২৫ বৃহস্পতিবার ৮৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে হিজাব পরা প্রথম মুসলিম নারী সিনেটর ফাতিমা পেম্যান তার এক পুরুষ সহকর্মীর বিরুদ্ধে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ ও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানার অভিযোগ এনেছেন।

সিনেটর ফাতিমা জানান, এক সামাজিক অনুষ্ঠানে মদ্যপ অবস্থায় ওই সহকর্মী তাকে বলেন, তোমাকে একটু ওয়াইন পান করাই, তারপর টেবিলে উঠে নাচো, দেখি।

এ ধরনের মন্তব্য তার ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সরাসরি অশ্রদ্ধা এবং একজন মুসলিম নারী হিসেবে তার জন্য অত্যন্ত ‘অপ্রাসঙ্গিক ও অসম্মানজনক’ ছিল বলে মন্তব্য করেন ফাতিমা।

অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি মদ পান করি না। আমি স্পষ্টভাবে তাকে বলেছি—আপনি সীমালঙ্ঘন করছেন, থামুন। এরপর আমি অভিযোগ দায়ের করেছি।

৩০ বছর বয়সী ফাতিমা বলেন, বর্তমান প্রজন্ম আগের মতো মুখ বুজে সহ্য করে না। তার অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন সিনিয়র সংসদ সদস্য, যিনি জানতেন ফাতিমা ইসলামী অনুশাসন মেনে চলেন এবং হিজাব পরেন। তবু ইচ্ছাকৃতভাবে তার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে।

ফাতিমা পেম্যানের অভিযোগটি এখন তদন্ত করছে পার্লামেন্টের ‘পার্লামেন্টারি ওয়ার্কপ্লেস সাপোর্ট সার্ভিস’ (পিডব্লিউএসএস), যা সংসদ সদস্যদের মধ্যে যৌন হয়রানি, নিপীড়ন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।

ফাতিমা বলেন, আমার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমি আশা করি, তারা কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে জন্ম নেওয়া ফাতিমা ২০২২ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিনেটর নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথম হিজাব পরা নারী এমপি।

উল্লেখ্য, গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে ২০২৪ সালে তিনি দল ছেড়ে নির্দলীয় হয়ে ওঠেন। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে নারী সদস্যদের প্রতি আচরণ নিয়ে বরাবরই সোচ্চার এই মুসলিম নেত্রী ২০২২ সালে ‘অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম রোল মডেল অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পান।

এই অভিযোগের মাধ্যমে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন—সাহস, সচেতনতা ও সত্য উচ্চারণ একজন নারী নেতার সবচেয়ে বড় শক্তি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT