রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মস্কোতে ইউক্রেনের ভয়াবহ ড্রোন হামলা, বন্ধ সব বিমানবন্দর

প্রকাশিত : ০৯:১৩ পূর্বাহ্ণ, ৬ মে ২০২৫ মঙ্গলবার ৪৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

রাশিয়ার মস্কোতে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এনিয়ে টানা দ্বিতীয় রাত ইউক্রেনের ড্রোন হামলার মুখে পড়ল মস্কো। এই হামলায় ফলে এদিকে সর্বশেষ হামলার পর মস্কোর চারটি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবিও করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার রাজধানী মস্কো টানা দ্বিতীয় রাত ইউক্রেনের ড্রোন হামলার মুখে পড়েছে। রাশিয়ার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোসাভিয়াটসিয়া জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে মস্কোর চারটি প্রধান বিমানবন্দর—ভনুকোভো, দোমোদেদোভো, শেরেমেতিয়েভো এবং ঝুকোভস্কি—অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন দিক থেকে আসা অন্তত ১৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে, কিছু ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ শহরের একটি প্রধান মহাসড়কে পড়েছে, যদিও এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ইউক্রেন অবশ্য এখনো মস্কোতে এই হামলার প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের রিলস্ক শহরে ইউক্রেনের হামলায় একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই হামলায় দুই কিশোর আহত হয়েছেন এবং শহরের কিছু অংশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা কুরস্ক অঞ্চলের তিওতকিনো গ্রামের কাছে রাশিয়ার একটি ড্রোন কমান্ড ইউনিটে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। এই অভিযানে রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে বলে ইউক্রেন দাবি করেছে।

রাশিয়ার সামরিক ব্লগাররা জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করে কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। তারা মাইনফিল্ড অতিক্রম করে সাঁজোয়া যান নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। এই সময় রুশ বাহিনী ব্রিজ উড়িয়ে দিয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে।

এই হামলার পর, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী সুমি অঞ্চলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দুটি বসতি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই পদক্ষেপটি রাশিয়ার সম্ভাব্য পাল্টা হামলার আশঙ্কায় নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন গত বছরের আগস্টে কুরস্ক অঞ্চলে একটি চমকপ্রদ অভিযান চালিয়ে কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে, রাশিয়া পরে দাবি করে যে তারা পুরো অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করেছে। যদিও ইউক্রেন দাবি করছে, তাদের সেনাবাহিনী এখনো কুরস্ক অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT