রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভের আগুনে পকেট গরম

প্রকাশিত : ০৯:১৭ পূর্বাহ্ণ, ১১ জুন ২০২৫ বুধবার ৫৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

অভিবাসন বিরোধী তল্লাশির জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। শহরজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে একই স্লোগান- ‘আইসিই বাতিল করুন’। শুক্রবার শুরু হওয়া বিক্ষোভ রূপ নিয়েছে সহিংস সংঘর্ষে। তবে লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তাঘাট এখন শুধু বিক্ষোভের মঞ্চই নয়, হয়ে উঠেছে রমরমা স্ট্রিট ফুড বাণিজ্য ক্ষেত্রও। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর ভিড়ে খাবারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পকেট গরম হচ্ছে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।

সামাজিক আন্দোলনের ধূম্রজালে খাদ্য বিক্রেতারা শুধু জীবিকাই চালাচ্ছেন না, বরং তারা এক ধরনের মানবিক সহায়তার প্রতীক হিসাবেও নিজেদের প্রমাণ করছেন। এপি।

লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসীদের ধরপাকড় অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে শহরজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকে সহিংসতা। রোববার বিকালে ডাউনটাউন লস অ্যাঞ্জেলেসে মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারের সামনে বিক্ষোভকারীরা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। তখন কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেটও ব্যবহার করা হয়।

এই পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে গেছেন স্ট্রিট ফুড ব্যবসায়ীরা। যদিও টিয়ার গ্যাস ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে কিন্তু বিক্রেতারা থেমে যাননি। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়ার মধ্যে তখনও এক হট ডগ বিক্রেতা নিরলসভাবে তার স্টল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের পাশে অটুট ছিলেন তারা। সিনথিয়া সোরিয়াও, এডগার হার্নান্দেজ এবং সেজারিন হার্নান্দেজও এ দিন সকালে তাদের ‘আগুয়াস ফ্রেস্কাস’ (ঠান্ডা ফলের পানীয়) ও কিছু দুধ নিয়ে স্টল সাজিয়েছিলেন।

কিন্তু তারা ভাবেননি, কয়েক ঘণ্টা পর তারা সেই দুধ ব্যবহার করে টিয়ার গ্যাসের জ্বালাপোড়া কমাতে বিক্ষোভকারীদের সাহায্য করবেন। এই ছোট ব্যবসায়ীরা তাদের ঠান্ডা পানীয় আর দুধ ব্যবহার করে প্রতিবাদকারীদের টিয়ার গ্যাসের কষ্ট কমাতে সাহায্য করেছেন। বিক্ষোভকারীদের পাশে থেকে প্রতিনিয়তই হট ডগ, ঠান্ডা পানীয় ও অন্যান্য খাবার সরবরাহ করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাউনটাউন এলাকায় একাধিক স্থান দেখা গেছে, রাস্তার খাবার বিক্রেতারা ছোট ছোট দোকান বসিয়ে বিক্ষোভকারীদের পাশে থেকে মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অনেকেই অভিবাসী। তবে নগদ টাকা না নিয়ে ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে বিক্রয় করছিলেন তারা। যাতে ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপত্তা ও দ্রুত লেনদেন করা যায়। যেখানেই বিক্ষোভ হচ্ছে, সেখানেই দেখা মিলছে রাস্তায় স্টল বসানো এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। শুধু খাবার নয়, অনেকে আবার বিক্রি করছেন লাতিন আমেরিকান দেশগুলোর জাতীয় পতাকাও। প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে সেসবও।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT