রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেতানিয়াহু ও ইসরায়েল এখন বিশ্বদৃষ্টিতে বিতর্কিত : জরিপ

প্রকাশিত : ০৮:১৬ পূর্বাহ্ণ, ৫ জুন ২০২৫ বৃহস্পতিবার ৪৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের চালানো নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের পর বিশ্বব্যাপী ইসরায়েল ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চোখে পড়ার মতোভাবে বেড়েছে।

এই চিত্র উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রতিক এক জরিপে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) প্রকাশিত জরিপটির বরাতে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৪টি দেশের ২৮ হাজারের বেশি মানুষ এতে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অধিকাংশ দেশেই নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েল সম্পর্কে বিরূপ মতামত বৃদ্ধি পেয়েছে।

জরিপে দেখা যায়, কেনিয়া এবং নাইজেরিয়া ব্যতীত অন্য কোনো দেশেই এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ নেতানিয়াহুকে সমর্থন করেননি। অর্থাৎ, বিশ্ব নেতাদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। পাশাপাশি ইসরায়েল রাষ্ট্র সম্পর্কেও নেতিবাচক ধারণা বেড়েছে।

বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতেই এই পরিবর্তন স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রের ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। ২০২২ সালের তুলনায় এটি ১১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যেও একই চিত্র- সেখানে নেতিবাচক ধারণা ৪৪ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ শতাংশে।

গাজা যুদ্ধ ঘিরে চলমান মানবিক বিপর্যয়কেই এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ। ধ্বংস হয়েছে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ একে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের প্রতি জনমতের এই নেতিবাচক ঝোঁক দেশটির কূটনৈতিক অবস্থান ও বৈশ্বিক সমর্থন প্রাপ্তির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই গণমত ক্রমেই আরও বিস্তৃত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT