রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবনযাপন ৪৪% পাকিস্তানির

প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ৭ জুন ২০২৫ শনিবার ৫৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বিশ্বব্যাংকের নতুন আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা অনুযায়ী, বর্তামানে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৪৪.৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১০৭.৯৫ মিলিয়ন মানুষ — দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবনযাপন করছে। নতুন এই দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে দৈনিক মাথাপিছু ৪.২০ ডলারে।

বিশ্বব্যাংকের নিয়মিত বৈশ্বিক হালনাগাদের অংশ হিসেবে দারিদ্র্যসীমা নতুন করে নির্ধারণ করা হয়।এই হালনাগাদ বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় করা হয়ে থাকে।

নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তানের ১৬.৫% জনগণ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে, যাদের দৈনিক আয় ৩ ডলারের নিচে। এর আগের ২.১৫ ডলারের মানদণ্ড অনুযায়ী এ হার ছিল মাত্র ৪.৯%।

অপরদিকে, আপার-মিডল ইনকাম দারিদ্র্যসীমা হিসাবে ধরা ৮.৩০ ডলার দৈনিক মাথাপিছু।এ হিসাবে পাকিস্তানের ৮৮.৪% মানুষকে এর আওতায় ফেলেছে।

নতুন মান অনুযায়ী, পাকিস্তানের যেসব মানুষ দৈনিক ১২০০ রুপির (প্রায়) নিচে আয় করে, তারা এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে বলে গণ্য হচ্ছেন। চরম দারিদ্র্যসীমার আওতায় রয়েছে প্রায় ৩৯.৮ মিলিয়ন মানুষ।

নতুন এই দারিদ্র্যসীমাগুলো নির্ধারিত হয়েছে ২০২১ সালের ক্রয়ক্ষমতার সাম্য তথ্যের ভিত্তিতে, যা ইন্টারন্যাশনাল কম্পারিজন প্রোগ্রাম (আইসিপি) দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের পাকিস্তান কান্ট্রি ডিরেক্টর নাজি বেনহাসিন বলেন, এই হালনাগাদগুলো পাকিস্তানের দারিদ্র্য পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তুলে ধরে এবং আমাদের নীতিনির্ধারক ও উন্নয়ন অংশীদারদের জন্য ঝুঁকি হ্রাস ও সহনশীলতা বৃদ্ধির প্রয়াসকে আরও জোরদার করে।

তিনি আরও বলেন, নতুন সংখ্যাগুলো দেশের জীবনমানের অবনতি নির্দেশ করে না। বরং এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হালনাগাদ ও অন্যান্য দেশের উন্নত তথ্যের প্রতিফলন।

উল্লেখ্য, এই দারিদ্র্যসীমা মূলত আন্তর্জাতিক তুলনার জন্য ব্যবহৃত হলেও পাকিস্তানে জাতীয় দারিদ্র্যসীমা অপরিবর্তিত রয়েছে এবং দেশীয় নীতি ও কর্মসূচি নির্ধারণে সেটিই প্রধান মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই অনুমানগুলো ২০১৮/১৯ সালের হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (HIES)-এর তথ্যের ভিত্তিতেই তৈরি।

এই হালনাগাদ ‘বিশ্বব্যাংক গ্লোবাল পভার্টি জুন আপডেট ২০২৫’-এর অংশ। খুব শিগগিরই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ‘পাকিস্তান পভার্টি, ইকুইটি অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স অ্যাসেসমেন্ট’। যা এই দারিদ্র্য পরিস্থিতিকে আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে তুলে ধরবে। যা অর্থনৈতিক অসমতা, অ-মৌলিক দারিদ্র্যের চিত্র, ও দারিদ্র্যের মূল চালকগুলোর বিশ্লেষণসহ পাকিস্তানের সামনে উন্নয়ন ও সহনশীলতার রূপরেখা দেবে।সূত্র: জিও নিউজ

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT