সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে মামলা

প্রকাশিত : ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ মঙ্গলবার ৫৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাতিল চেয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার ট্রাম্পের আরোপিত নতুন শুল্কনীতির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে মামলা করে একটি আইনি সহায়তা সংস্থা। মামলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপের বিষয়টি স্থগিত করার অনুরোধ জানানো হয়। দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স।

সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন করেছেন। ‘লিবার্টি জাস্টিস সেন্টার’ নামে ওই সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা পাঁচটি ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন আমদানিকারক সংস্থার পক্ষে এ মামলাটি করেছে। এসব সংস্থা এমন কিছু পণ্য আমদানি করে, যেগুলোর ওপর ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক আরোপ করেছে। মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিসাবে যে ব্যবসাগুলোর নাম উঠে এসেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে নিউইয়র্কের একটি ওয়াইন ও স্পিরিট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, একটি স্পোর্টফিশিং যন্ত্রপাতি উৎপাদন ও বিক্রয়কারী ই-কমার্স কোম্পানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান থেকে আমদানি করা রজন দিয়ে তৈরি ইউএসভিত্তিক পাইপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ভার্জিনিয়ার একটি ইলেকট্রনিক কিট ও বাদ্যযন্ত্র নির্মাতা ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং ভেরমন্টের নারীদের সাইক্লিং পোশাক প্রস্তুতকারক একটি ব্র্যান্ড।

২ এপ্রিল ঘোষণা হওয়া শুল্কের পাশাপাশি চীনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে আরোপিত শুল্ককে ওই মামলায় চ্যালেঞ্জ করা হয়। লিবার্টি জাস্টিস সেন্টারের সিনিয়র আইনজীবী জেফ্রি শোয়াব এক বিবৃতিতে বলেন, কোনো ব্যক্তিরই এমন কর আরোপের ক্ষমতা থাকা উচিত নয়, যার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এমন বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র হ্যারিসন ফিল্ডস এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্র হওয়ায় বেশকিছু বিরল খনিজ পদার্থ ও চুম্বক দেশটিতে রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে চীন। পেন্টাগন ও প্রতিরক্ষা ঠিকাদাররা চীনে খনন বা প্রক্রিয়াজাত করা চুম্বক এবং বিরল মাটির খনিজ পদার্থের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ফলে চীনের এমন পদক্ষেপের কারণে ঝুঁকিতে পড়তে পারে মার্কিন সামরিক কর্মসূচি। বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো ইঞ্জিন চালু করতে এবং জরুরি শক্তি সরবরাহের জন্য চীনে খনন করা বা প্রক্রিয়াজাত করা বিরল মাটির খনিজ পদার্থ দিয়ে তৈরি চুম্বকের প্রয়োজন হয়। মার্কিন সেনাবাহিনীর পছন্দের তালিকায় থাকা নির্ভুল-নির্দেশিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোয় চীনা বিরল আর্থ উপকরণযুক্ত চুম্বক বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া নতুন বৈদ্যুতিক এবং ব্যাটারিচালিত ড্রোন, কম্প্যাক্ট বৈদ্যুতিক মোটরে বিরল চুম্বকের ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।

শিল্প ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তীব্র শুল্ক বৃদ্ধির পালটা প্রতিশোধ নিতে চীনের বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও চুম্বকের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি সতর্কীকরণ।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT