সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব

প্রকাশিত : ০৯:০৫ পূর্বাহ্ণ, ২২ এপ্রিল ২০২৫ মঙ্গলবার ৪৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি নতুন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।

ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নতুন এই প্রস্তাবে পাঁচ থেকে সাত বছরের জন্য একটি যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা রয়েছে। এতে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল কায়রো যাওয়ার কথা রয়েছে। আলোচনায় দলটির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন রাজনৈতিক পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ দারবিশ এবং প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ ইসরাইল যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় পুনরায় বোমাবর্ষণ শুরু করে। সেই সময় ইসরাইল-হামাস উভয় পক্ষই একে অপরকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য দায়ী করে। তবে মধ্যস্থতাকারীদের নতুন প্রস্তাব নিয়ে এখন পর্যন্ত ইসরাইল কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

উল্লেখ্য, মাত্র কয়েকদিন আগে হামাস ইসরাইলের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। ওই প্রস্তাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের দাবি জানানো হয়েছিল, যা হামাস মেনে নেয়নি।

এর আগে শনিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং সব ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ বন্ধ করবেন না। জবাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরাইলকে প্রথমে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে, এরপরই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বিবিসিকে আরও জানান, হামাস ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা গাজার শাসনভার এমন একটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত, যা জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সম্মত একটি সংগঠন হতে পারে। এটি হতে পারে পশ্চিম তীরে অবস্থিত বর্তমান ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) কিংবা নতুন করে গঠিত একটি প্রশাসনিক কাঠামো।

অপরদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, গাজার ভবিষ্যৎ শাসনে পিএ’র কোনো ভূমিকা থাকবে না।

যদিও এই আলোচনার সাফল্য নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, তবুও বিবিসিকে দেওয়া বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, চলমান মধ্যস্থতা চেষ্টাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং হামাস আলোচনায় ‘অভূতপূর্ব নমনীয়তা’ প্রদর্শন করছে, যা অতীতে দেখা যায়নি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT