রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুজদারে স্কুলবাসে হামলা, জাতিসংঘে ভারতের দিকেই আঙুল পাকিস্তানের

প্রকাশিত : ০৫:২২ অপরাহ্ণ, ২৪ মে ২০২৫ শনিবার ৪৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে খুজদার হামলার ঘটনায় ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি প্রতিনিধি সাইমা সেলিম বলেন, এই হামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন টিটিপি, বিএলএ এবং মজিদ ব্রিগেডের মাধ্যমে ভারত মদদ দিয়েছে, যার ফলে নিরীহ স্কুলশিশুরা প্রাণ হারিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের এমন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুধু পাকিস্তানের অভ্যন্তরেই নয়, পুরো অঞ্চলের শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি খুজদারে শিশু বহনকারী একটি বাসে হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে ভারতের সংশ্লিষ্টতার কথা তুলে ধরেন।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সশস্ত্র সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা বিষয়ক আলোচনায় ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসিম ইফতিখার আহমদ অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক আগ্রাসনের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের বসতবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলা চালিয়ে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ভারতের প্রতিক্রিয়া

ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পারভতনেনি হরিশ পাকিস্তানের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত করেছে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে মিথ্যাচার করছে। তিনি বলেন, যে রাষ্ট্র সন্ত্রাসকে লালন-পালন করে, তাদের পক্ষে বেসামরিক জনগণের সুরক্ষার পাঠ পড়ানোর কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই।

পাকিস্তানের পাল্টা জবাব

পাকিস্তানি প্রতিনিধি সাইমা সেলিম কড়া ভাষায় বলেন, কোনো ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেও সত্য লুকানো যাবে না। ভারত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে নিরীহ মানুষ হত্যা ও আহত করছে। তারা আমাদের দেশে এবং বিশ্বজুড়ে হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসের পেছনে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের কাছে যদি লুকানোর কিছু না থাকত, তবে তারা নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন তদন্তে রাজি হতো। কিন্তু এর পরিবর্তে তারা কাশ্মীরের জনগণের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চাপিয়ে দিচ্ছে যাতে তাদের ন্যায্য স্বাধীনতা সংগ্রাম দমন করা যায়।

পানি প্রবাহে বাধা নিয়েও অভিযোগ

সাইমা সেলিম আরও অভিযোগ করেন, ভারত এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে তারা ২৪ কোটি পাকিস্তানির জীবনরেখা হিসেবে বিবেচিত নদীগুলোর পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে।

সাম্প্রতিক হামলার উল্লেখ

তিনি বলেন, চলতি মাসের শুরুতে ভারত পাকিস্তানে ‘উস্কানিমূলক আগ্রাসন’ চালায় এবং সাধারণ নাগরিকদের ওপর আঘাত হানে। এতে ৪০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ৭ জন নারী ও ১৫ জন শিশু অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১২১ জন, যাদের মধ্যে রয়েছেন ১০ জন নারী ও ২৭ জন শিশু।

সাইমা আরও বলেন, বেসামরিক সুরক্ষা নিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্যতা ভারতের নেই।

তার দাবি, ভারত যদি সত্যিকারের শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক হয় এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখতে চায়, তবে তাদের উচিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পথ পরিহার করা এবং কাশ্মীরিদের দমন বন্ধ করা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT