রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানে মোসাদের ৫৪ গুপ্তচর গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ১২:২১ অপরাহ্ণ, ২১ জুন ২০২৫ শনিবার ৪৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে গোয়েন্দা ও সাইবার যুদ্ধও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এমন সময়, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ৫৪ জন সন্দেহভাজন গুপ্তচরকে গ্রেফতার করেছে ইরান। বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও ফার্স নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতার অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশে, যেখানে পরিস্থিতি শুরু থেকেই উত্তপ্ত ছিল। খুজেস্তানের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে “শত্রুর পক্ষ হয়ে তথ্য সংগ্রহ, রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চালানো, মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করার” অভিযোগ আনা হয়েছে।

ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তদন্তে প্রমাণ মিলেছে যে গ্রেফতা হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মোসাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল। এর মাধ্যমে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে তথ্য পাচার, বিভ্রান্তিমূলক প্রচার ও গোপন অপারেশনে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।

সংঘাতের প্রেক্ষাপট

গত ১৩ জুন থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনায় দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে বিমান হামলা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। সংঘাতের ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

ইসরায়েলের সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ইরানের হামলায় ২৫ জন নিহত এবং কয়েক শ মানুষ আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৩৯ জন নিহত এবং ১,৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

এই সময়ের মধ্যে উভয় দেশেই সাইবার হামলা ও গুপ্তচরবৃত্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ৫৪ জন গুপ্তচর গ্রেপ্তারের ঘটনাকে এই সংঘাতের গোপন ও তথ্যভিত্তিক যুদ্ধের অংশ হিসেবে দেখছে বিশ্লেষকরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের গুপ্তচরবৃত্তি ও তার বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন প্রমাণ করে যে, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত শুধু সামরিক নয়, বরং তথ্য, প্রযুক্তি ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধেও রূপ নিচ্ছে। মোসাদের কার্যকলাপ মোকাবিলায় ইরান তার গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মহল এই সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ বারবার উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানালেও, বাস্তব পরিস্থিতিতে সংঘর্ষ কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT