রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের নয়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তছনছ ইসরায়েল

প্রকাশিত : ০৯:৩০ পূর্বাহ্ণ, ১৬ জুন ২০২৫ সোমবার ৪৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে ইরান। সর্বশেষ হামলায় ইহুদিবাদী ভূখণ্ডটির বিভিন্ন শহরের স্থাপনা লক্ষ্য করে ‘হাজ কাসেম’ নামের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরানি বাহিনী।

শনিবার মধ্যরাত ও রবিবার ভোরে এসব হামলায় ইসরায়েলের একাধিক শহরে গুড়িয়ে গেছে অনেক ভবন। এতে দুই শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে।

এর মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ২০০ জন। এছাড়াও আরও ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানা গেছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের বন্দর নগরী হাইফা, বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব, বাত ইয়াম, উত্তর ইসরায়েলের তামরা শহরের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত এনেছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র। এতে অনেক ভবন ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘ফার্স’-এর মতে, শনিবার রাতভর একের পর এক হামলার সময় ইসরায়েলে হাজ কাসেম গাইডেড ব্যালিস্টিক মিসাইল আঘাত হেনেছে।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ ৪ মে ইরানি টিভিকে বলেন, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন সামরিক বাহিনীর টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড ডিফেন্স বা থাডের মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ ইসরায়েল কর্তৃক ব্যবহৃত অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে যেকোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থার মতে, মে মাসের প্রথম দিকে ইরান এটি উন্মোচন করে বলেছে- এটি কঠিন জ্বালানি-চালিত এক হাজার ২০০ কিলোমিটার পাল্লার দ্রুত গতির মিসাইল, যা কৌশলগত ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত। এটি ক্ষেপণাস্ত্র-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নতুন এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে এক ধরনের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম রয়েছে, যা এটিকে লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানতে এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধযানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করে।

এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ড কর্পসের বিশেষ অপারেশন ইউনিট কুদস বাহিনীর সাবেক কমান্ডার শহীদ কাসেম সোলাইমানির নামে, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিহত হন। সূত্র: সিএনএন, টাইমস অব ইসরায়েল, বিবিসি

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT