রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আতঙ্কের মাঝেও বিয়ের সানাই

প্রকাশিত : ০৯:১৮ পূর্বাহ্ণ, ৫ মে ২০২৫ সোমবার ৬৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

পরনে লেহেঙ্গা, সঙ্গে ভারী গহনা। বউ সেজে বসে আছেন ১৮ বছর বয়সি রাবিয়া বিবি। মাথায় পাগড়ি ও শেরোয়ানি পরে বরবেশে পাশেই রয়েছেন চৌধুরী জুনাইদ (২৩)। দুজনই পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের বাসিন্দা।

ভারত ও পাকিস্তানে চলমান উত্তেজনার মাঝেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। এদিকে সীমান্তে বুলেট-বারুদের গন্ধ অন্যদিকে যুদ্ধের আশঙ্কা। চরম এ আতঙ্কের মাঝেই পাকিস্তানের কাশ্মীরে বাজছে বিয়ের সানাই। এএফপি।

ভারতের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে হত্যার ঘটনায় আবারও বৈরীভাব তৈরি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে। সীমান্তে দুদেশের মধ্যে চলছে গোলাগুলি, সামরিক মহড়া। দুদেশই একে অপরকে দিচ্ছে হুমকি। এমন নাজুক পরিস্থিতিতেও নির্ধারিত তারিখে বিয়ের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন জুনাইদ ও রাবিয়া।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত সীমান্তবর্তী কাশ্মীরের একটি প্রত্যন্ত উপত্যকা নীলম ভ্যালিতে বাস করেন তারা। দুদেশের এমন উত্তেজনার মাঝেও বিয়ের সিদ্ধান্তে রাবিয়া বলেন, ‘আমাদের শৈশব থেকেই এমন পরিস্থিতি দেখে এসেছি, এখন আর আমরা ভয় পাই না। আর পাবও না। আমরা শান্তি চাই, যাতে আমাদের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’

এ বিষয়ে রাবিয়ার বর জুনাইদ বলেন, ‘মানুষ উদ্বিগ্ন এবং চিন্তিত, তবুও, আমরা কোনো ঐতিহ্যবাহী বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করিনি’। তবে শুধু জুনাইদ দম্পতি নয়, অন্য এক গ্রামে বিয়ে করেছেন যান্ত্রিক প্রকৌশলী শোয়েব আখতারও।

পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে থাকা ২৫ বছর বয়সি আখতার বলেন, ‘এটি আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত এবং আমরা কোনো কিছুতেই এটি নষ্ট করতে দেব না। এখন আমি বিয়ে করছি এবং এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি যুদ্ধ আসে, আমরা যখনই তা ঘটবে তখনই তা মোকাবিলা করব।

তার স্ত্রী বলেন, ‘আমরা খুশি এবং যদি ভারতের কিছু সমস্যা থাকে, তবে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের এবং আমাদের জাতির স্বার্থের জন্য লড়াই করব।’

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন অবসানের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তান হিমালয় অঞ্চল নিয়ে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছে। বিভক্ত মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের উভয় পাশে বসবাসকারী সাধারণ কাশ্মীরিরা প্রায়ই ক্রসফায়ারের শিকার হন।

২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। কেননা ঘটনার পরপরই পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছে ভারত, যা মানতে নারাজ ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের দাবি-ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলেই এ হামলার নাটক সাজিয়েছেন। এমন ঘটনায় সীমান্তের দুই পারেই মানুষ রাত কাটাচ্ছেন আতঙ্কে। জেগে থাকছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে।

যুদ্ধাতঙ্কে চুরান্ডা থেকে চকোঠি, সাইন্থ থেকে ত্রেওয়া-প্রতিটি সীমান্তবর্তী গ্রামের ঘরে ঘরেই এখন গড়ে উঠছে বাঙ্কার। জরুরি রসদ মজুত করছেন সেখানেই। প্রতিদিনের জীবনযাপন চালিয়ে যাচ্ছেন ভয় আর দুশ্চিন্তার ছায়ায়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT