রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘অল্প গাঁজায় কড়াকড়ি নয়’—মত লন্ডন মেয়রের

প্রকাশিত : ০৬:০০ পূর্বাহ্ণ, ২৯ মে ২০২৫ বৃহস্পতিবার ৬২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, অল্প পরিমাণ প্রাকৃতিক গাঁজা রাখার অপরাধে দণ্ড কমানো উচিত—এ বিষয়টি সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা প্রয়োজন। বুধবার (২৮ মে) প্রকাশিত একটি স্বাধীন গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিনি এই মত দেন। খবর বিবিসি।

সাদিক খানের ভাষায়, এই প্রতিবেদনটি প্রমাণভিত্তিক এবং একটি গ্রহণযোগ্য যুক্তি তুলে ধরেছে। মাদকসংক্রান্ত অপরাধ রোধে আমাদের নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।

যুক্তরাজ্যের বর্তমান আইন অনুযায়ী, গাঁজা একটি ‘বি’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত। এর ফলে গাঁজাসহ কাউকে ধরা পড়লে তাকে জরিমানা বা কারাদণ্ডের মুখে পড়তে হয়। তবে ২০২২ সালে সাদিক খানের উদ্যোগে গঠিত লন্ডন ড্রাগস কমিশন (এলডিসি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, গাঁজার প্রকৃত ক্ষতির তুলনায় এই আইন অনেক বেশি কঠোর।

কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—বিশ্বজুড়ে গাঁজা নিয়ন্ত্রণে আইন কীভাবে প্রয়োগ করা হয়, তা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এসব নীতির কারণে নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীগুলোর ওপর অতিরিক্ত নজরদারি হয়, যা পুলিশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

প্রতিবেদনটি গাঁজার পূর্ণ বৈধতার পক্ষে নয়, তবে স্বল্প পরিমাণ প্রাকৃতিক গাঁজাকে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার আইন’ থেকে সরিয়ে ‘মনোসক্রিয় বস্তু আইন’-এর আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছে। এতে করে সীমিত পরিমাণ গাঁজা রাখা ব্যবহারকারীদের জন্য আইনগতভাবে বৈধ হবে, তবে উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধই থাকবে।

কমিশন আরও সুপারিশ করেছে, গাঁজার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং যারা আসক্ত, তাদের জন্য উন্নত চিকিৎসা ও সহায়তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

সাদিক খান বলেন, মাদক-সম্পর্কিত অপরাধ থেকে সমাজকে মুক্ত করতে আমাদের বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে নীতি তৈরি করতে হবে। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে—অল্প গাঁজা রাখার জন্য বর্তমান আইনি ব্যবস্থা যুক্তিযুক্ত নয়।

কমিশনের প্রধান ও সাবেক লর্ড চ্যান্সেলর লর্ড চার্লি ফাকনার বলেন, গাঁজা পুরোপুরি বৈধ করার পক্ষে আমরা নই। আমাদের আইনের লক্ষ্য হওয়া উচিত বড় মাদক কারবারিদের দমন এবং ব্যবহারকারীদের সেবা নিশ্চিত করা।

তবে ব্রিটিশ সরকার এই প্রস্তাবে দ্বিমত জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, গাঁজা এখনো ‘বি’ শ্রেণির মাদক। একে নতুনভাবে শ্রেণিবিন্যাসের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।

এদিকে গাঁজা ব্যবহারে আইন শিথিল হবে কি না, তা নির্ভর করছে ব্রিটিশ রাজনীতিতে ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তের ওপর। তবে মেয়র সাদিক খানের এই অবস্থান গাঁজা নীতিমালায় নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT