বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাইজেরিয়ায় স্বর্ণখনিতে ভয়াবহ ধস, বহু প্রাণহানির শঙ্কা

প্রকাশিত : ০৬:৩৯ অপরাহ্ণ, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার ২৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জামফারা অঙ্গরাজ্যে একটি স্বর্ণখনিতে ভয়াবহ ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত একশ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মারু স্থানীয় সরকার এলাকার কাদাউরি গ্রামে অবস্থিত ওই স্বর্ণখনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবরে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সারাদিন ধরে উদ্ধার তৎপরতা চালালেও এখনো বহু মানুষ খনির ভেতরে আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় খনির গভীরে শতাধিক খনিশ্রমিক কাজ করছিলেন। হঠাৎ মাটি ও পাথরের বিশাল অংশ ভেঙে পড়ে তারা চাপা পড়ে যান। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোক ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া সানুসি আওয়াল নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এখন পর্যন্ত ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে তার এক চাচাতো ভাইও রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধস নামার সময় ভেতরে শতাধিক খনিশ্রমিক ছিলেন। আমরা কয়েকজন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। একশজনের বেশি শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’

অন্য এক আহত শ্রমিক ইসা সানি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। আমরা মাটির নিচে আটকে পড়েছিলাম। সত্যি বলতে আমরা বেঁচে ফিরেছি অলৌকিকভাবে।’

জামফারা স্টেট মাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা মুহাম্মদু ইসা গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধারকাজে নেমে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকও দম বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। অক্সিজেনের অভাবের কারণে ভেতরে প্রবেশ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘এখনো অনেক মানুষ ভেতরে জীবিত বা মৃত অবস্থায় আটকে থাকতে পারেন।’

ঘটনার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করা হলেও জামফারা অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মুখপাত্র ইয়াজিদ আবুবাকার কোনো সাড়া দেননি। ফলে সরকারি দিক থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক হিসাব পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার জামফারা অঙ্গরাজ্য দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্বর্ণখনির জন্য পরিচিত। এসব খনির বড় একটি অংশ স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্বর্ণ আহরণের অর্থনৈতিক লোভে হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ এসব খনিতে কাজ করতে বাধ্য হন। এর ফলে প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

এ ছাড়া অবৈধ খনিগুলো থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো অর্থ সংগ্রহ করে, যা ওই অঞ্চলে সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT