বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের হুমকি পাত্তাই দিল না আফগানরা

প্রকাশিত : ০৮:০০ পূর্বাহ্ণ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার ২৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি দখলে নিতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তা ছাড়তে নারাজ আফগানরা। এ নিয়ে দরকষাকষিতে এগোতে না পেরে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান যদি বাগরাম বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত না দেয়, তাহলে ‘খারাপ কিছু’ ঘটতে পারে। এরপরও আগের অবস্থানে আফগানিস্তান। যেন তারা ট্রাম্পকে পাত্তাই দিচ্ছে না।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবানরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ বছরের আফগানিস্তান যুদ্ধের সময় ওয়াশিংটনের পরিচালিত বাগরাম বিমানঘাঁটি হস্তান্তরের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্পের হুমকিকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।

আফগানিস্তানের শাসক তালেবান রোববার বলেছে, আফগানিস্তানের স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ববর্তী চুক্তিগুলো বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। তাতে বলা হয়েছে, মার্কিনিরা বলপ্রয়োগ করবে না। সে অনুযায়ী, এটি আবারও জোর দিয়ে বলা হচ্ছে যে- অতীতের ব্যর্থ পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি করার পরিবর্তে বাস্তববাদ এবং যুক্তিসঙ্গততার নীতি গ্রহণ করা উচিত।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের সময় বাগরাম ছিল মার্কিন বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি। বিশাল এ ঘাঁটিতে ফাস্টফুড চেইন থেকে শুরু করে বড় শপিং স্টোর পর্যন্ত ছিল। এ ছাড়া, এখানে একটি বড় কারাগার কমপ্লেক্সও ছিল।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার পর তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং বাগরামসহ বিভিন্ন ঘাঁটি তাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। দেশটিতে পুনরায় মার্কিন ঘাঁটি স্থাপনের বিষয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়ে আসছে আফগানিস্তান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনর্দখল করতে গেলে তা একটি পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান হয়ে উঠতে পারে, যেখানে ১০ হাজারের বেশি সেনা প্রয়োজন হবে এবং উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও বসাতে হবে। এ ছাড়াও, ঘাঁটিটি তালেবান, ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল কায়েদার মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর হুমকিতে থাকবে। ইরান থেকেও মিসাইল হামলার আশঙ্কা রয়েছে, যেমনটি ২০২৫ সালের জুনে কাতারে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ঘটেছিল।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT