বুধবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেপালে রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা-আগুন

প্রকাশিত : ০৬:০০ অপরাহ্ণ, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার ১১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

নেপালে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় নেমে এসেছেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় জেন-জি বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন জোটের শরিক নেপালি কংগ্রেস পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ মন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। এ সময় কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

নেপালের সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ জন তরুণ নিহত হন। এরপর ক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমন করতে কর্তৃপক্ষ বলপ্রয়োগ করায় সাধারণ মানুষ ব্যাপক বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

সরকার আজ মঙ্গলবার ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও প্ল্যাটফর্মের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও বিক্ষোভকারীরা কারফিউর মধ্যে রাস্তায় নেমে আসেন। তারা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর সানেপায় ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেস পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

কাঠমান্ডু উপত্যকা ও বিভিন্ন জেলায় পরিস্থিতি আজও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সকালে বিক্ষোভকারীরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি ও প্রধান প্রধান দলের কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ শুরু করেন।

ললিতপুরে তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেলের ভৈসেপাতির বাড়িতে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। গতকাল সোমবার পদত্যাগ করা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাড়িতে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা।

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নেপালি কংগ্রেসের প্রধান শের বাহাদুর দেউবার বুধানিলকণ্ঠার বাড়ির দিকে বিক্ষোভকারীরা এগোলেও হামলার আগেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ।

বিরোধী দলের প্রধান ও সিপিএন (মাওবাদী কেন্দ্র) চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দহলের খুমলতার এলাকার বাসভবনেও ইটপাটকেল ছোড়া হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, বিভিন্ন এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী, প্রাদেশিক মন্ত্রী ও আরও বহু নেতার বাড়িঘর বিক্ষোভকারীদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT