শনিবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৯৮৮ সালের পর ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাঞ্জাব, নিহত ৩০

প্রকাশিত : ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার ১০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ। ১৯৮৮ সালের পর এমন পরিস্থিতি এ অঞ্চলে আর দেখা যায়নি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৩ জেলা এবং মারা গেছে অন্তত ৩০ জন। খবর এনডিটিভি

হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টির ফলে শতদ্রু, বিয়াস ও রাভি নদীর পানি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যার প্রভাব পড়ে পাঞ্জাবে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে উদ্ধার কাছে নেমেছে সেনা-নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা।

সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাবের ২৩ জেলা। প্রায় ১৪০০ গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঠানকোট, এখানে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের, নিখোঁজ আরও তিনজন। লুধিয়ানায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের।

ক্ষতির দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে গুরুদাসপুর জেলা। এখানে ৩২৪টি গ্রাম ডুবে গেছে, এরপর অমৃতসরে ১৩৫টি এবং হোশিয়ারপুর ১১৯টি গ্রাম ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে বার্নালা, বাথিন্ডা, ফিরোজপুর, পাতিয়ালা, এসএএস নগর, সাঙ্গরুর, তরন তারান এবং ফাজিলকা। বন্যায় ১ লাখ ৪৮ হাজার হেক্টরেরও বেশি ফসল নষ্ট হয়েছে, প্রায় ৩.৭৫ লাখ হেক্টর কৃষিজমি ডুবে গেছে। বন্যায় বহু গবাদি পশুর ভেসে যাওয়ায় দুগ্ধ উৎপাদন এবং পশুপালনেও প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখে ৬০ হাজার কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে।

এদিকে পঞ্জাবের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার ওই রাজ্যে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। শিবরাজ কাল সকালে অমৃতসরে পৌঁছাবেন। এরপর বন্যাকবলিত এলাকায় গিয়ে কৃষক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন। ফেরার পথে রাজ্যের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করবেন তিনি।

উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার তিনি এক্স পোস্টে মোদির উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘মোদিজি পাঞ্জাব বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই কঠিন সময়ে, আপনার নজর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সক্রিয় সাহায্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হাজার হাজার পরিবার তাদের বাড়িঘর, জীবন এবং প্রিয়জনদের বাঁচাতে লড়াই করছে। আমি অনুরোধ করছি, এই রাজ্যগুলোর জন্য, বিশেষ করে কৃষকদের জন্য, অবিলম্বে একটি বিশেষ ত্রাণ ঘোষণা করার পাশাপাশি, ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের গতি বাড়ানো হোক।’

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT