রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানি হামলার অভিযোগে কাবুলে পাক রাষ্ট্রদূত তলব

প্রকাশিত : ০৬:০০ অপরাহ্ণ, ২৯ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার ১৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আফগানিস্তানের নানগরহার ও খোস্ত প্রদেশে পাকিস্তানি সেনা হামলার অভিযোগ এনে কাবুল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করেছে।

তালেবান সরকার বলছে, এসব হামলায় অন্তত তিনজন বেসামরিক নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলেছে, পাকিস্তান আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে দারুণ্ড লাইন সংলগ্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে। এটিকে ‘আফগান ভূখণ্ডের ওপর নগ্ন আঘাত ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

কাবুল সতর্ক করে দিয়েছে— আফগান সার্বভৌমত্ব রক্ষাই ইসলামী আমিরাতের ‘লাল দাগ’; এমন কর্মকাণ্ডের পরিণতি অনিবার্য হবে।

পাকিস্তান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রদূত তলব বা সীমান্তপারের হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে নানগরহারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিনওয়ার জেলায় দুটি ড্রোন হামলায় এক ব্যক্তির বাড়ি লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর মাওলভি আজিজুল্লাহ মুস্তাফা বলেন, আফগানিস্তান শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ভালো প্রতিবেশী সম্পর্কের পক্ষে, কিন্তু এ ধরনের হামলা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে নতুন উত্তেজনা

ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে আফগান তালেবান পাকিস্তানি তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) আশ্রয় দিচ্ছে। টিটিপি সম্প্রতি পাকিস্তানের ভেতরে হামলা বাড়িয়েছে।

পাকিস্তান মাঝেমধ্যে সীমান্তপারের হামলা চালায় বলে স্বীকার করেছে, দাবি করেছে এগুলো সন্ত্রাসী ঘাঁটির বিরুদ্ধে। তবে কাবুল এসব পদক্ষেপকে সব সময় ‘সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা জানায়।

চলতি বছর শুরুর দিকে পাকিস্তান সীমান্ত বাণিজ্য পথ বন্ধ করে দিলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়। আফগানিস্তান পাল্টা বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ দেখাচ্ছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখনও ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।

কূটনৈতিক যোগাযোগেও অচলাবস্থা

সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার কাবুল সফরে গিয়ে আফগান অন্তর্বর্তীকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং টিটিপি-সংক্রান্ত অগ্রগতির অভাব নিয়ে কঠোর আপত্তি তোলেন।

এর আগে মুত্তাকির ইসলামাবাদ সফর জাতিসংঘের ভ্রমণ ছাড়পত্র না পাওয়ায় বাতিল হয়। নতুন করে সফরের পরিকল্পনা থাকলেও সর্বশেষ উত্তেজনার কারণে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT