রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরও ভয়ংকর হচ্ছে উত্তর কোরিয়া

প্রকাশিত : ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ, ২৭ আগস্ট ২০২৫ বুধবার ২৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

দিন দিন আরও ভয়ংকর হচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কিমের দেশে তৈরি হচ্ছে পারমাণবিক সব শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র। দেশটির সক্ষমতা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রতিবছর ১০-২০টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে। সোমবার এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে, উত্তর কোরিয়া আনুমানিক ৫০টি ওয়্যারহেড তৈরি করেছে। এছাড়াও দেশটির কাছে ৪০টি পর্যন্ত পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য বিচ্ছিন্ন উপাদান রয়েছে। এএফপি।
আগের সরকারের কঠোর নীতি এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনীতির অভাবের কথা উলে­খ করে লি বলেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়াকে নিরুৎসাহিত করার এবং নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু ফলাফল হলো উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক কর্মসূচি বিকাশ অব্যাহত রেখেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কঠিন সত্য হলো, গত তিন থেকে চার বছরে উত্তর কোরিয়ার কাছে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।’

কিমের সঙ্গে এ বছরই বৈঠক করতে চান ট্রাম্প : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার বলেছেন, তিনি চলতি বছরেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান। তিনি আরও বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আরও আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং সোমবার প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউজ সফর করেন।

ওভাল অফিসে তাকে স্বাগত জানিয়ে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘ভবিষ্যতে উপযুক্ত সময়ে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় আছি।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি এ বছরই তার সঙ্গে বৈঠক করতে চাই।’

জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বাণিজ্য চুক্তি হয়। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপ থেকে ছাড় পায়। তবে এখনো দুই দেশ পারমাণবিক শক্তি, সামরিক ব্যয় ও যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ কোরিয়ার ৩৫ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্র“তিসহ এ সংক্রান্ত চুক্তির বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের বক্তব্যের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল রয়টার্স।

তবে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় প্রমাণ হয়েছে, ওয়াশিংটন কোরীয় উপদ্বীপ দখল এবং অঞ্চলটির দেশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে চায়। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ওই সময় তার উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সরাসরি কূটনীতি শুরু হয়েছিল। তবে তখন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করার মতো কোনো চুক্তি হয়নি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT