রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনে অবৈধ সরবরাহ ঠেকাতে চিপের চালানে গোপন ট্র্যাকার বসাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত : ০৭:৩০ পূর্বাহ্ণ, ১৭ আগস্ট ২০২৫ রবিবার ২৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

চীনে অবৈধভাবে তথ্য স্থানান্তর শনাক্ত করার লক্ষ্যে গোপনে উন্নত এআই চিপ এবং সার্ভারের নির্বাচিত চালানে ট্র্যাকিং ডিভাইস স্থাপন করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত দুটি সূত্র রয়টার্সকে এই তথ্য দিয়েছেন ।

যেসব এআই চিপ মার্কিন রফতানি নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন দেশ বা অঞ্চলে গোপনে পাঠানো হচ্ছে, সেগুলো শনাক্ত করাই এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিওয়েছে সূত্রগুলো। তবে এটি সব চালানের ক্ষেত্রে নয়, শুধু যেসব চালান তদন্তের আওতায় রয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেই এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য।

ট্রাম্প প্রশাসন উন্নত আমেরিকান সেমিকন্ডাক্টরগুলোতে চীনাদের প্রবেশাধিকারের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার চেষ্টা করার পরেও, চীনের ওপর চিপ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যুক্তরাষ্ট্র কতটা পদক্ষেপ নিয়েছে এই পদক্ষেপ তারই প্রমাণ।

দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিমান যন্ত্রাংশসহ নানা রফতানি-নিয়ন্ত্রিত পণ্যে ট্র্যাকার ব্যবহার করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেমিকন্ডাক্টর চোরাচালান ঠেকাতেও এটি প্রয়োগ করা হয়েছে।

ডেল ও সুপার মাইক্রো সার্ভারের কিছু চালানে এই ট্র্যাকার বসানো হয়েছে বলে এআই সার্ভার সরবরাহ চেইনের পাঁচজন ব্যক্তি নিশ্চিত করেছেন। এসব সার্ভারে এনভিডিয়া ও এএমডির তৈরি উন্নত চিপ ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ট্র্যাকারগুলো চালানের প্যাকেজিংয়ের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়। আবার কখনো কখনো বসানো হয় সার্ভারের ভেতরেও।

বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ট্র্যাকারগুলো মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ লঙ্ঘন করে লাভবান ব্যক্তি এবং কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মামলা গঠনে সহায়তা করতে পারে।

লোকেশন ট্র্যাকার হলো একটি পুরনো তদন্তকারী হাতিয়ার যা মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা পণ্য, যেমন বিমানের যন্ত্রাংশ, ট্র্যাক করার জন্য ব্যবহার করে।

২০২৪ সালের একটি ঘটনার বর্ণনায় জানা গেছে, ডেল সার্ভারের এক চালানে বড় আকারের ট্র্যাকার শিপিং বক্সে এবং ছোট আকারের ট্র্যাকার প্যাকেজিং ও সার্ভারের ভেতরে ছিল।

আরেক সরবরাহকারী দাবি করেছেন, অন্যান্য চিপ বিক্রেতারা এই ট্র্যাকার সরিয়ে ফেলার ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছেন।

মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি ব্যুরো, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস (এইচএসআই) এবং এফবিআই প্রায়শই এসব তদন্তে যুক্ত থাকে। তবে সংস্থাগুলো ট্র্যাকার বসানোর ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করেনি। ডেল, এনভিডিয়া ও সুপার মাইক্রো—প্রায় কেউই এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। ডেল শুধু জানিয়েছে, তারা এমন কোনো সরকারি উদ্যোগের বিষয়ে অবগত নয়।

২০২২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র এনভিডিয়া, এএমডি ও অন্যান্য নির্মাতাদের উন্নত চিপ চীনে বিক্রি সীমাবদ্ধ করেছে। চীনের সামরিক আধুনিকীকরণ ঠেকাতে এবং ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে দুর্বল করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT