রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইতালি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে ২৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ১৪ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার ২৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় একটি অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও ডজনের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইতালীর কোস্টগার্ড ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে, প্রায় একশর কাছাকাছি অভিবাসী নৌকাটিতে ছিলেন। বুধবার এটি ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ডুবে যায়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৯২ থেকে ৯৭ জন অভিবাসী লিবিয়া থেকে যাত্রা করেছিলেন দুটি নৌকায়। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের ভাষ্যমতে, যাত্রাপথে একটি নৌকায় পানি ঢুকতে শুরু করলে সব যাত্রীকে অপর একটি ফাইবারগ্লাসের নৌকায় স্থানান্তর করা হয়। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে সেই নৌকাটি ডুবে যায়।

ইতালির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও নিখোঁজদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চলছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের ইতালিস্থ মুখপাত্র ফিলিপ্পো উঙ্গারো জানান, উদ্ধারকৃত ৬০ জনকে লাম্পেদুসার একটি অভিবাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

লাম্পেদুসার মেয়র ফিলিপ্পো মাননিনো জানান, ভোরের দিকে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ৬৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, গত এক দশকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ অভিবাসী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তিউনিসিয়া ও লিবিয়া উপকূল থেকে যাত্রা করা ছোট ছোট নৌকায়।

এই ঘটনার পর ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এক বিবৃতিতে বলেন, আজকের এই মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, শুধুমাত্র উদ্ধার অভিযান যথেষ্ট নয়। মূল সমস্যা মোকাবিলার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

তিনি জানান, তার সরকার মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে এবং অভিবাসন প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT