রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্যারিসে ৫০ বছর পত্রিকা বিক্রি, ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মাননা পাচ্ছেন আকবর

প্রকাশিত : ০৭:৩০ পূর্বাহ্ণ, ১২ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার ২৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আলী আকবর, ফ্রান্সের সংবাদপত্র বিক্রেতা। প্রায় ৫০ বছর ধরে প্যারিসের রাস্তায় হেঁটে পত্রিকা বিক্রি করছেন। ৭২ বছর বয়সী এই হকার এখন নিজেই খবরের শিরোনাম।

বিবিসির খবর, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর কাছে থেকে বিশেষ সম্মাননা ‘অর্ডার অব মেরিট’ পেতে যাচ্ছেন তিনি। ‘অর্ডার অব মেরিট’ ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মাননাগুলোর একটি। আকবরকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে সংবাদপত্র বিক্রি করে ফরাসি সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ফ্রান্সে, এমনকি গোটা ইউরোপে আকবরই একমাত্র ব্যক্তি যিনি খবরের কাগজ বিক্রি করেন। এক সময় তাঁর কাছে থেকে পত্রিকা কিনতেন এমানুয়েল মাখোঁও। যিনি এখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।

পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করা আকবর ইউরোপে পাড়ি জমান ১৯৬০ সালের শেষ দিকে। প্রথমে নেদার‌ল্যান্ডসের আমস্টারডামে পৌঁছান। সেখানে একটি ক্রু জাহাজে কাজ পান। ১৯৭২ সালে জাহাজটি ফ্রান্সের রোয়াঁ শহরে নোঙর করে। এর এক বছর পরে আকবর প্যারিসে যান। ১৯৮০ সালে তিনি বসবাসের অনুমতি পান।

আলী আকবর বলেন, ১৯৭৩ সালে তিনি যখন প্যারিসে পত্রিকা বিক্রি শুরু করেন তখন আরও ৩৫ থেকে ৪০ জন এমন কাজ করতেন। এখন তিনি একা, বাকিরা এ কাজ ছেড়ে দিয়েছে।

বর্তমানে শহরের কফিশপগুলোতে ঘুরে ফ্রান্সের দৈনিক ‘লো মন্দ’ এর প্রায় ৩০টি কপি বিক্রি করতে পারেন আকবর। তিনি বলেন, এখন সবকিছু ডিজিটাল। মানুষ শুধু তাদের ফোনে খবর দেখতে চায়।

‘ইন্টারনেট প্রসারের আগে মানুষ পত্রিকা কেনার জন্য চারপাশে ভিড় জমাতো। আর এখন আমাকে গ্রাহকদের পেছনে দৌঁড়াতে হয়।’ বলেন- আলী আকবর।

প্যারিসের সেন্ট জার্মেই এলাকায় এক সময় বুদ্ধিজীবীদের আড্ডা বসতো। সেখানে অনেক তারকাদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আকবরের। একবার এলটন জন (ব্রিটিশ গায়ক) তাঁকে চা পান করিয়েছিরেন। আর সায়েন্স পো ইউনিভার্সিটির সামনে পত্রিকা বিক্রি করতে গিয়ে দেখা হয়েছিল এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে।

আকবর বলেন, লেফট ব্যাংক এলাকায় আগে প্রকাশক, লেখক, অভিনয় ও সংগীত শিল্পীদের আড্ডা বসতো। এখন সে প্রাণটা হরিয়ে গেছে। এটি এখন শুধু পর্যটকের শহর।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT