রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবি: নিহত বেড়ে ১৪৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ৫ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার ৩৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইয়েমেনের উপকূলে শরণার্থী ও অভিবাসীবোঝাই একটি নৌকা ডুবে ৬৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৭৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। নিখোঁজ ব্যক্তিরা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিবিসি জানায়, রোববার সন্ধ্যায় ইয়েমেনের আবিয়ান প্রদেশের শাকরা উপকূলে আরব সাগরে প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে নৌকাটি উল্টে যায়। উপকূল থেকে ১২ জনকে জীবিত ও ৬৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের বেশির ভাগই ইথিওপিয়ার নাগরিক।

আইওএম ইয়েমেন প্রধান আবদুসাত্তোর এসোয়েভ প্রধান জানান, প্রায় ১৫৭ অভিবাসীকে বহনকারী নৌকাটি বিপজ্জনক একটি রুটে যাত্রা করছিল, যেটি সাধারণত মানব পাচারকারীরা ব্যবহার করে থাকে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চল থেকে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে কাজের সন্ধানে যাত্রা করা অভিবাসীদের জন্য ইয়েমেন এখনও একটি প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আইওএমের হিসাব অনুযায়ী, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শত শত মানুষ এই রুটে নৌকাডুবিতে নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন।

ভবিষ্যতের উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় উত্তর দিকে সৌদি আরবগামী অসংখ্য হতাশাগ্রস্ত অভিবাসীর জন্য ইয়েমেন একটি জনপ্রিয় ট্রানজিট দেশ।
এপি জানায়, দক্ষিণের খানফার জেলায় ৫৪টি মৃতদেহ উপকূলে পাওয়া যায় এবং আরও ১৪টি মৃতদেহ আবিয়ান প্রাদেশিক রাজধানী জিনজিবারের একটি হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়। আবিয়ান নিরাপত্তা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ব্যাপক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হচ্ছে এবং বহু মৃতদেহ উপকূলজুড়ে বিস্তৃত এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

আইওএমের একজন মুখপাত্র বলেন, সংস্থাটি এই মর্মান্তিক প্রাণহানিতে গভীরভাবে শোকাহত। এই হৃদয়বিদারক ঘটনা এমন একটি বাস্তবতা তুলে ধরে, যেখানে অভিবাসীরা চরম ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করে, যা প্রায়ই কিছু লোভী পাচারকারীর মাধ্যমে পরিচালিত হয়; যারা হতাশা ও দুর্বলতাকে পুঁজি করে তাদের শিকার করে।

এসোয়েভ বলেন, অভিবাসীদের পাচারকারীদের শিকার হওয়া ঠেকাতে আইনি সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি। মানুষ যেন আইনি পথে অভিবাসন করতে পারে এবং পাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে এমন বিপজ্জনক যাত্রায় না নামে, সে জন্য সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।
আইওএম আগে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চল থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত যাত্রাপথকে সবচেয়ে ব্যস্ত ও বিপজ্জনক মিশ্র অভিবাসন রুটগুলোর একটি বলে উল্লেখ করেছিল।

চলতি বছরের মার্চে ইয়েমেনের ধুবাব জেলায় দুটি নৌকা ১৮০ জনের বেশি অভিবাসী নিয়ে সমুদ্রে ডুবে যায়। সে সময় শুধু দুজন নাবিককে উদ্ধার করা হয় এবং বাকি সব যাত্রী নিখোঁজ ও মৃত বলে ধারণা করা হয়।

আইওএমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে অভিবাসন সেবাকেন্দ্রে পৌঁছানো অভিবাসীরা জানিয়েছেন, পাচারকারীরা এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ আবহাওয়ায় নৌকা পাঠাচ্ছে, যাতে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়াতে পারে। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও অনেক অভিবাসী এখনও এই যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। ২০২৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি অভিবাসী ইয়েমেনে পৌঁছেছেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT