রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলায় ক্ষোভ মমতার

প্রকাশিত : ০৭:৩১ পূর্বাহ্ণ, ৪ আগস্ট ২০২৫ সোমবার ৩৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বাংলা ভাষা নাকি ‘বাংলাদেশি ভাষা’, দিল্লী পুলিশের এমন চিঠি পেয়েছে নয়াদিল্লীতে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের রেসিডেন্স কমিশন অফিস বঙ্গভবন। এমন ঘটনায় বিতর্ক ছড়ানোর পাশাপাশি ব্যাপকভাবে চটেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং দলের সংসদ সদস্য অভিষেক ব্যানার্জিও টুইট করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দিল্লি পুলিশ নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

জানা গিয়েছে, দিল্লিতে অবস্থিত বঙ্গভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে দিল্লী পুলিশের অধীন লোধি কলোনি পুলিশ থানার তরফে পাঠানো ওই চিঠিটিতে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশি সন্দেহে আটকৃত ব্যক্তিদের কাছে থেকে বাজেয়াপ্ত নথি, তথ্য বাংলাদেশি ভাষায় রয়েছে। সেটিকে যাচাই করতে ইংরেজি ও হিন্দিতে অনুবাদ করার জন্য অনুবাদক প্রয়োজন।’

রোববার তৃণমুল কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেলে ওই সরকারি চিঠিটি পোস্ট করে তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। দলের তরফে বলা হয়েছে ‘বিজেপি বাংলা বিদ্বেষের সকল সীমা পার করে ফেলছে। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে একের পর এক বাংলাভাষী শ্রমিকদের হেনস্থা ও গ্রেপ্তারের পর, এবার অমিত শাহের দিল্লির পুলিশ সব সীমা অতিক্রম করে আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলে দাগিয়ে দিল।’

তৃণমূলের দাবি ‘এটা কোনো ভুল নয়- এটি একটি ইচ্ছাকৃত অপমান, পরিকল্পিত চক্রান্ত- যেখানে সংবিধানে স্বীকৃত এবং ধ্রুপদী ভাষার মধ্যে অন্যতম একটি ভাষাকে পরিচয়হীন করে দেওয়া হচ্ছে এবং কোটি কোটি বাংলা ভাষাভাষী ভারতবাসীকে নিজেদের দেশেই বহিরাগত হিসেবে তুলে ধরার অপচেষ্টা চলছে।’

তৃণমূল জানায়, বাংলা ভাষায় সারা বিশ্বে ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ কথা বলেন। এটি ভারতের ২২টি সরকারি ভাষার মধ্যে একটি। সেই ভাষাকে ‘বাংলাদেশি’ বলা কেবলই একটা ঘৃণ্য অপমান নয় — তা হল ভাষাটিকে ভারতীয় পরিচয় থেকে মুছে দেওয়ার, তার বৈধতা খারিজ করার এবং বাংলাভাষী মানুষদের বহিরাগত প্রমাণ করার নির্লজ্জ চেষ্টা।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা, অবিলম্বে সংশোধন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানায়, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং স্বামী বিবেকানন্দের ভাষা। যে ভাষায় আমাদের জাতীয় সঙ্গীত রচিত, যে ভাষায় কোটি কোটি ভারতীয় কথা বলেন এবং লেখেন, যে ভাষা ভারতের সংবিধান দ্বারা পবিত্র এবং স্বীকৃত, তাকে এখন বাংলাদেশি ভাষা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটা কলঙ্কজনক, অপমানজনক, দেশবিরোধী, অসাংবিধানিক! এই ঘটনা ভারতের সকল বাংলাভাষী মানুষের কাছে অপমানজনক। যারা ভারতের বাংলাভাষী জনগণকে অপমান করার জন্য এই ধরণের সংবিধান-বিরোধী ভাষা ব্যবহার করছে- ভারতের সেই বাঙালি-বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে আমরা অবিলম্বে তীব্রতম প্রতিবাদের আহ্বান জানাই।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT