রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্যারিবিয়ান দ্বীপে বাড়ি কিনলেই মিলছে পাসপোর্ট

প্রকাশিত : ০৮:৪২ পূর্বাহ্ণ, ৩০ জুলাই ২০২৫ বুধবার ২৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

পূর্ব ক্যারিবিয়ার নির্মল সমুদ্রসৈকত আর শান্তিপূর্ণ জীবনযাত্রার পাশাপাশি এখন ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে একটি নতুন পাসপোর্ট।

সম্প্রতি এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ বিনিয়োগের বিনিময়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করছে, যার চাহিদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার কারণে উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে।

অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, সেন্ট কিটস ও নেভিস এবং সেন্ট লুসিয়া এই পাঁচটি ক্যারিবিয়ান দেশ কমপক্ষে দুই লাখ ডলার বিনিয়োগ করলে নাগরিকত্ব প্রদান করে। এই সুবিধার আওতায় একটি বাড়ি কিনলে ক্রেতারা পাসপোর্টও পাবেন, যা দিয়ে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের শেনজেন অঞ্চলসহ ১৫০টিরও বেশি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা যাবে।

ধনী ক্রেতাদের জন্য এই অঞ্চলের মূল আকর্ষণ হলো কর-মুক্ত সুবিধা। এখানে মূলধন কর, উত্তরাধিকার কর এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আয়করও নেই। ক্যারিবিয়ানে এই সব দেশের নাগরিকত্ব স্কিমে ক্রেতাদের নিজেদের মূল নাগরিকত্ব ধরে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।

অ্যান্টিগুয়ার একটি বিলাসবহুল রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ‘লাক্সারি লোকেশনস’-এর মালিক নাদিয়া ডাইসন জানান, বর্তমানে প্রায় ৭০% ক্রেতাই নাগরিকত্বের জন্য আগ্রহী, যাদের বেশিরভাগই মার্কিন নাগরিক। যদিও অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্ব স্কিমে বসবাসের বাধ্যবাধকতা নেই, তবুও কিছু ক্রেতা স্থায়ীভাবে সেখানে থাকার পরিকল্পনা করছেন। ডাইসন বলেন, ইতিমধ্যেই কয়েকজন সেখানে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

বিনিয়োগ-ভিত্তিক অভিবাসন বিষয়ক কনসাল্টিং ফার্ম হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর নাগরিকত্ব স্কিমে আবেদনকারীদের মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও ইউক্রেন, তুরস্ক, নাইজেরিয়া এবং চীন থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আবেদন পড়ছে। ২০২৪ সালের শেষ তিন মাস থেকে এই স্কিমগুলোর আবেদন ১২% বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে এই ধরনের স্কিম নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগও রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার স্থগিত করার হুমকি দিয়েছে, কারণ তাদের আশঙ্কা, শিথিল নিয়ম-কানুনের সুযোগ নিয়ে অপরাধীরা বৈধ নাগরিকত্ব পেতে পারে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রও আগেই সতর্ক করেছে যে, এই প্রোগ্রামগুলো কর ফাঁকি ও আর্থিক অপরাধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

ইউরোপীয় কমিশন ইতিমধ্যেই এই পাঁচটি ক্যারিবিয়ান দেশের নাগরিকত্ব স্কিম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ২০২২ সাল থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT