রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিগ-২১ যুদ্ধবিমানকে চিরবিদায় জানাতে চলেছে ভারত

প্রকাশিত : ০৮:৩১ পূর্বাহ্ণ, ২৪ জুলাই ২০২৫ বৃহস্পতিবার ২৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ছয় দশকেরও বেশি সময় পর এবার ভারতীয় বিমানবাহিনী চিরবিদায় জানাবে ‘মিগ’ বিমানকে। বর্তমানে ২৩ নম্বর ‘প্যান্থার্স’ স্কোয়াড্রনের অন্তর্ভুক্ত ‘মিগ টোয়েন্টি ওয়ান’ শেষবারের মতো দেশটির আকাশে উড়বে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর।

ভারতে মিগ টোয়েন্টি ওয়ানের যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কয়েক বছর আগে গঠিত হওয়া ভারতের ২৮ নম্বর ‘ফার্স্ট সুপারসনিকস’ স্কোয়াড্রন দিয়ে। রাশিয়ার তৈরি এই ‘মিকোয়ান গুরেভিচ’ বা মিগ বিমান প্রথম ভারতে আসে ১৯৬৩ সালে। গত সোমবার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যে এফ-৭ বিমান ঢাকায় বিধ্বস্ত হয়, সেটি এই মিগ টোয়েন্টি ওয়ানেরই প্রতিরূপ, যা চীনের তৈরি। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে এসব তথ্য বলা হয়।

ভারতের বিমানবাহিনীর ওয়েবসাইটে বলা হয়, ১৯৬২ সালের আগস্ট মাসে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ফলে পরবর্তী কয়েক দশকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর রূপ ও শক্তিতে নিবিড় বদল ঘটেছিল। এক চুক্তির মাধ্যমে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম বহরটি আনে ভারত সরকার।

সেই দফায় কেনা ১২টি মিগ টোয়েন্টি ওয়ানই ছিল ভারতের প্রথম ‘অ-পশ্চিমা’ যুদ্ধবিমান। ভারতেই যাতে এই বিমানগুলো উৎপাদন করা যায়, সে জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তাও পেয়েছিল দেশটি। মিগ সিরিজের বিমানই ছিল ভারতের হাতে আসা প্রথম সুপারসনিক (শব্দের চেয়েও দ্রুত) যুদ্ধবিমান।

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে মিগ ব্যবহার করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যখন ভারত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছিল, সে সময় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিও ছিল মিগ।

এমনকি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বশেষ ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালে মিগ বিমান স্কোয়াড্রনকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছিল। গত ৬০ বছরেরও বেশি সময়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ৮৭০টি মিগ বিমান ব্যবহার করেছে। ব্যবহারের শুরুতেই ১৯৬৩ সালে দুটি মিগ বিধ্বস্ত হয়েছিল।

ভারতে গত ১৫ বছরে ২০টি মিগ বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। বেশি দুর্ঘটনায় পড়ার কারণে মিগ টোয়েন্টি ওয়ানকে ‘কফিন-মেকার’ বা ‘উইডো-মেকার’ বলা হয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT