রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের মেগা-ড্যামের কাজ শুরু: ভারতের চরম উদ্বেগ

প্রকাশিত : ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ২০ জুলাই ২০২৫ রবিবার ৩৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

চীন তিব্বতের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদে (স্থানীয়ভাবে ইয়ারলুং সাংপো) বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ শুরু করেছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) এই মেগা-ড্যামের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। খবর দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া।

চীন গত ডিসেম্বরেই এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। এটি দেশের কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন এবং তিব্বতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।

প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এটি মধ্য চীনের বিখ্যাত থ্রি গর্জেস ড্যামকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।

সিনহুয়ার তথ্য অনুযায়ী, এই ড্যাম থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ চীনের অন্যান্য অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে, তবে তিব্বতের স্থানীয় বিদ্যুৎ চাহিদাও এতে মেটানো হবে।

প্রকল্পের আওতায় মোট পাঁচটি হাইড্রোপাওয়ার স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বা ১৬৭.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তবে চীনের এই উদ্যোগে উদ্বিগ্ন ভারত। কারণ ব্রহ্মপুত্র নদ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আন্তর্জাতিক নদী।

ভারত মনে করছে, উজানে এমন বড় ড্যাম নির্মাণ নিচু অববাহিকার দেশগুলোর পানির নিরাপত্তা ও পরিবেশের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমাদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি চীনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন ভাটির দেশগুলোর স্বার্থ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

চীন অবশ্য দাবি করছে, এই প্রকল্প নদীর ভাটিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং তারা ভাটির দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।

কিন্তু বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশবাদীরা মনে করছেন, তিব্বতের মতো পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় এ ধরনের বিশাল অবকাঠামো প্রকল্প অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

উল্লেখ্য, ভারত ও চীন উভয়েই দীর্ঘ বিতর্কিত সীমান্ত ভাগাভাগি করছে, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা প্রায়ই চরমে পৌঁছায়।

এই পরিস্থিতিতে ব্রহ্মপুত্রের উজানে চীনের মেগা-ড্যাম প্রকল্প নতুন করে দ্বিপক্ষীয় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT