রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমছে না ক্রীড়া সামগ্রীর দাম!

প্রকাশিত : ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ, ২ জুন ২০২৫ সোমবার ৫৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

জাতীয় বাজেটে এবারও ক্রীড়া সরঞ্জামাদির ওপর কর কমছে না। ৩৬.৭৫ ভাগ কর ও অন্যান্য শুল্ক দিয়ে ক্রীড়াসামগ্রী আমদানি করতে হয়। ফলে বাজেটে কোনো সুখবর নেই ক্রীড়াবিদদের জন্য।

কমবে না ক্রীড়াসামগ্রীর দাম। বেশি দামে ক্রীড়াসামগ্রী কেনায় দেশে ক্রীড়ার প্রসারে তা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ক্রিকেট ব্যাটের জন্য আমদানিকৃত কাঠের ওপর ১২.৭৫ ভাগ কর কমানো হচ্ছে।

চাহিদামতো ক্রীড়াসামগ্রী না পাওয়ায় তৈরি হচ্ছে না ভালোমানের ক্রীড়াবিদ। মাত্রাতিরিক্ত শুল্কের কারণে ক্রীড়া সরঞ্জামাদির দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে ক্রয়ক্ষমতা। খেলাধুলা যেন বিত্তবানদের ফ্যাশনে পরিণত হচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে বাংলাদেশে দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি হবে না। মাঠ থাকবে; কিন্তু ভালোমানের খেলোয়াড় থাকবে না।

জাতীয় বাজেটে ক্রীড়াসামগ্রীর ওপর কর কমানোর কোনো আভাস মেলেনি। চড়া শুল্কের কারণে ক্রীড়াসামগ্রী ক্রয়ের সামর্থ্য হারাচ্ছেন দেশের অধিকাংশ ক্রীড়াবিদ। এ ব্যাপারে নেই কোনো সমন্বিত উদ্যোগ। স্থবির হয়ে গেছে ক্রীড়াবিদ তৈরির প্রকল্প। নতুন নতুন ক্রীড়া স্থাপনা নির্মাণ ও সংস্কার নিয়েই ব্যস্ত কর্মকর্তারা। বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা-ক্লাব জেলা ও বিভাগে, স্কুলে ক্রীড়াসামগ্রী বিতরণ করে আসছে। কিন্তু নিম্নমানের এসব সামগ্রী দিয়ে খেলা সম্ভব নয়। খেলার আগেই বাতিলের খাতায় চলে যায়।

সরকারি অর্থের শ্রাদ্ধ হলেও খেলাধুলার উন্নয়ন হয় না। বেসরকারি খাতে ক্রীড়াসামগ্রী আমদানি করতে গিয়েও গুনতে হয় মাত্রাতিরিক্ত কর। ফলে খেলাধুলার সামগ্রীর মূল্য এখন আকাশছোঁয়া।

প্রায় ৩৭ ভাগ কর দিতে হয় ক্রীড়াসামগ্রী আমদানিতে। ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ক্রীড়াসামগ্রী আমদানিকারক কাজী ইউশা মিশু জানালেন, ‘বাংলাদেশে তেমন কোনো ক্রীড়াসামগ্রী উৎপাদন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। চীন, ভারত ও পাকিস্তান থেকেই সিংহভাগ সামগ্রী আমদানি করা হয়। এজন্য আমদানিকারকদের গুনতে হয় মোটা অঙ্কের মাশুল। ৩৬.৭৫ ভাগ করের মধ্যে ১০ ভাগ ডিউটি চার্জ, ১৭.৭৫ ভাগ ভ্যাট, পাঁচ ভাগ অ্যাডভান্স আয়কর ও পাঁচ ভাগ অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট নির্ধারণ করা রয়েছে। এসব কারণে ক্রীড়াসামগ্রীর মূল্য স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বেড়ে যায়। এ মূল্যবৃদ্ধিতে আমাদের কিছু করার নেই।’

তার কথা, ‘পাশের দেশ ভারতে এ খাতে করের পরিমাণ মাত্র ১২ ভাগ। আমাদের দেশে বর্তমান যে বৈশ্বিক সংকট চলছে, তাতে ক্রীড়া খাত অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। আগে আমি নিজেই যেখানে ২০ কনটেইনার ক্রীড়াসামগ্রী আমদানি করতাম, সেখানে ২০২৩ সালে মাত্র ছয় কনটেইনার এনেছি। মানুষ ক্রীড়াসামগ্রী তেমন একটা কেনেন না। আমদানিকারকরাও রয়েছেন নানা সমস্যায়। ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোও বিদেশি ব্যাংকগুলোকে এলসির অর্থ পরিশোধে সময়ক্ষেপণ করে। ডলারের দাম বৃদ্ধিও ক্রীড়াসামগ্রীর মূল্য বাড়ার অন্যতম কারণ।’

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT