সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার যুদ্ধাহত শিশুর ছবি বিশ্বসেরা

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ শনিবার ৫৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বর্বর ইসরাইলের চরম নির্মমতার শিকার গাজার দুই হাত হারানো যুদ্ধাহত এক শিশুর হৃদয়বিদারক ছবি এবার ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার ২০২৫’ নির্বাচিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এই ছবিটি তুলেছেন ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক সামার আবু এলফ। ছবিটি নয় বছর বয়সি মাহমুদ আজজুরের। সে ২০২৪ সালের মার্চে গাজা সিটিতে ইসরাইলের বিমান হামলায় দুই হাত হারিয়েছে।

ইসরাইলের গণহত্যা শুরুর পর ২০২৩ সালের শেষ দিকে গাজা ছেড়ে আসেন সামার। বর্তমানে তিনি কাতারের দোহার মাহমুদের সঙ্গে একই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে বাস করছেন। চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে বেরিয়ে আসা আহত ফিলিস্তিনিদের জীবনযাপন নিয়মিত চিত্রবন্দি করছেন এই নারী আলোকচিত্রী।

ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর নির্বাহী পরিচালক জুমানা এল জেইন খুরি বলেন, এই নিঃশব্দ ছবিটি অনেক কথা বলে। একটি শিশুর গল্প বলে, সঙ্গে একটি বড় যুদ্ধের কথাও বলে- যার প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনুভূত হবে।

এ ছবিটি যেন গাজায় নিয়মিত অভুক্ত থাকা শত শত নিষ্পাপ শিশুর কথাই বিশ্ব মানবতাকে মনে করিয়ে দেয়। মার্চ মাস থেকে অবরোধের অধীনে থাকা গাজার প্রতিটি শিশু দিন কাটাচ্ছে অর্ধাহারে, অনাহারে। স্থানীয় এনজিওগুলো এরই মধ্যে সতর্ক করে দিয়েছে, গাজায় অপুষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের মজুতও কমে যাচ্ছে। জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিস (ঙঈঐঅ) একে ‘হামলা শুরুর পর থেকে ১৮ মাসের মধ্যে এ সময়কে সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকট’ বলে অভিহিত করেছে।

গাজা উপত্যকায় ১২টি প্রধান দাতা গোষ্ঠীর নেতাদের এক জরুরি সতর্কবার্তায় বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, ১৮ মাসের ইসরাইলের সামরিক অভিযান এবং গত মাসে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপের কারণে গাজার মানবিক সহায়তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার মুখোমুখি। ব্যাপক ও নির্বিচার বোমাবর্ষণের ফলে সেখানে চলাচল অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ৪৩টি আন্তর্জাতিক ও ফিলিস্তিনি ত্রাণ সংস্থার মধ্যে আনুমানিক ৯৫ শতাংশ ইতোমধ্যেই গাজায় তাদের পরিষেবা স্থগিত বা বন্ধ করে দিয়েছে।

ত্রাণ সংস্থা অক্সফামের নীতি বিভাগের প্রধান বুশরা খলিল বলেছেন, ‘শিশুরা এখন দিনে একবেলা কম খাবার পাচ্ছে এবং তাদের পরের বেলার খাবার পেতে লড়াই করতে হচ্ছে।’ ‘সবাই কেবল টিনজাত খাবারই খাচ্ছে। এতেই প্রতীয়মান হয় গাজায় অপুষ্টি এবং দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি চলছে।’

এ বছরের প্রতিযোগিতায় দুটি আলোকচিত্র রানারআপ নির্বাচিত হয়েছে। একটি গেটি ইমেজেসের জন্য জন মুরের তোলা যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের কয়েকজন অভিবাসীর ছবি।

আরেকটি অ্যামাজন অঞ্চলের খরার চিত্র ফুটিয়ে তোলা মুসুক নোল্টের একটি আলোকচিত্র। এই ছবিতে অ্যামাজনের মানাকাপুরু গ্রামের এক যুবককে দেখা যায়, যিনি শুকিয়ে যাওয়া নদীর তলদেশ ধরে হাঁটছেন। এই ছবি অ্যামাজন অঞ্চলের পানি সংকটের ভয়াবহতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT