সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুমি হামলায় নিহত ৩৫, যা বলল ইউক্রেন-রাশিয়া

প্রকাশিত : ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ মঙ্গলবার ১১৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইউক্রেনের সুমি শহরে রোববার ভয়াবহ এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ১১৭ জন। রাশিয়া এ হামলার দায় স্বীকার করলেও দাবি করছে, এটি ছিল ইউক্রেনীয় সামরিক কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকের ওপর ‘ন্যায়সঙ্গত সামরিক হামলা’।

তবে ইউক্রেন এই হামলাকে ‘সাধারণ মানুষের ওপর চালানো পরিকল্পিত বর্বরতা’ বলে আখ্যা দিয়েছে।খবর রয়টার্সের।

এদিক রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, তারা দুটি ইস্কান্দার-এম ট্যাকটিক্যাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়। সেখানে ইউক্রেনের সামরিক অপারেশনাল গ্রুপের বৈঠক হচ্ছিল বলে দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে।

তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেন, হামলাটি হয়েছে পাম সানডে-র (Palm Sunday) দিন। এ সময় অনেকেই প্রার্থনার জন্য গির্জায় যাচ্ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে ‘কেবল কাপুরুষরাই এমন কাজ করতে পারে’ বলে মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এদিকে রাশিয়ার রোববারের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে ব্রিটেন, জার্মানি ও ইতালি।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলাটিকে ‘ভয়ঙ্কর’ অভিহিত করলেও বলেছেন, ‘আমি শুনেছি ওরা ভুল করেছে’। যদিও তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছুই বলেননি।

ইউক্রেনের অভিযোগ

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রধান সহকারী আন্দ্রিই ইয়ারমাক বলেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ মানুষকে টার্গেট করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহা জানান, এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে।

রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া

এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রুশ বাহিনী কেবল ‘সামরিক বা সামরিক-সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালায়।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ দাবি করেন, ইউক্রেনীয় সেনারা সুমিতে পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করছিল। তবে তিনি কোনো পশ্চিমা প্রতিনিধির নাম বা প্রমাণ দেননি।

এটি ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মাত্র একটি দিন। কিন্তু এই এক দিনেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—রাশিয়া শান্তি চায়, নাকি একটি দীর্ঘায়িত সংঘর্ষের কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আরও বেশি প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ ও মানবাধিকার পরিসংখ্যান:

জাতিসংঘের মতে, যুদ্ধের প্রথম তিন বছরে ইউক্রেনে কমপক্ষে ১২,৬৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ২৯,৩৯২ জন আহত হয়েছেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT