সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিডিআই বিষয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে যা বললেন চীনা রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত : ০৭:১০ পূর্বাহ্ণ, ১৫ মার্চ ২০২৩ বুধবার ১২৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

চীনের উদ্যোগ গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে (জিডিআই) যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সহায়তাও চেয়েছি।

আশাকরি বাংলাদেশের কাছ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাব । ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল (আইপিএস) নিয়ে বাংলাদেশের নীতিতে সমর্থন করছে চীন। বেইজিং আশা করে, আইপিএসে বাংলাদেশ কারও পক্ষ নেবে না।

মঙ্গলবার ‘স্প্রিং ডায়ালগ উইথ চায়না’ শীর্ষক আলোচনায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত ওয়েন।

তিস্তা প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন। তবে এ প্রকল্প নিয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। এর বেশি কিছু এখনই বলা ঠিক হবে না।

রোহিঙ্গা সংকট থেকে চীন সরে যাবে না বলে আশ্বস্ত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সমস্যা নয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে চীন সংকট সমাধানে ভূমিকা পালন করে আসছে।

আমরা এ সংকট সমাধানে ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ নিয়েছি। ওই উদ্যোগ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কেন শুরু করা যায়নি, সেটি আপনারা জানেন।

রোহিঙ্গা সংকট বেশ জটিলতা ধারণ করেছে বলেই মনে করছেন রাষ্ট্রদূত ওয়েন। এর একটি কারণ হিসেবে পশ্চিমা দেশগুলোর হস্তক্ষেপের বিষয়টি ইঙ্গিত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার আস্থার অভাবে প্রক্রিয়াটি জটিল হয়ে পড়েছে।

এর পাশাপাশি বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। তবে এখন সময় এসেছে সবাইকে মিলে একসঙ্গে চেষ্টা করার।

দাতা দেশগুলো থেকে রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন কমে আসা নিয়ে ওয়েন রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, পশ্চিমারা হাজারও কোটি ডলারের অস্ত্র ইউক্রেনে খরচ না করে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় খরচ করতে পারত।

চীন রাজনৈতিকভাবে ইউক্রেন পরিস্থিতির সমাধান চায় বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। এ সময় তিনি সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে হওয়া শান্তি চুক্তির প্রসঙ্গটি তোলেন।

চীনা দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার সম্পাদক ইনাম আহমেদ।

বাংলাদেশে চীনের অর্থায়নে প্রকল্পে ধীরগতি প্রসঙ্গ তোলেন সাংবাদিকরা। জবাবে রাষ্ট্রদূত বিষয়টির সঙ্গে একমত নয় জানিয়ে বলেন, চীনের প্রকল্পগুলো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে রয়েছে।

২০১৬ সালে ২৭ প্রকল্পের বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছিল। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। এক তৃতীয়াংশ প্রকল্প বর্তমানে চলমান এবং এক তৃতীয়াংশ প্রকল্প আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT