সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই স্ত্রীকে খুশি করতে যে অভিনব পদ্ধতি পালন করেন স্বামী

প্রকাশিত : ০৭:০৭ পূর্বাহ্ণ, ১৫ মার্চ ২০২৩ বুধবার ১২৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

স্বামী-স্ত্রী এক ছাদের নিচে বসবাসে সুখের সংসারের গল্প শুনা যায় হরহামেশায়। কিন্তু এক স্বামীর দুটো স্ত্রী হলে সংসারে সুখের গল্প খুবই কম শোনা যায়। কিন্তু ব্যতিক্রমী ঘটেছে ভারতে। অভিনব পদ্ধতিতে দুই স্ত্রী সামাল দিয়ে সুখের সংসার গড়েছেন এক স্বামী।

সতীনের সংসারে বিরাট কোন্দল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি; বরং এক স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করছেন দুই স্ত্রী। এবং দুই স্ত্রীকে সমানভাবে সময় দেওয়ার জন্য স্বামী যে পদ্ধতি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকেও সমর্থন করেছেন স্ত্রীরা। ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানার সীমান্তবর্তী দিল্লির গুরুগাঁও শহরে ঘটেছে এই ঘটনা।

পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবক ২০১৮ সালে বিয়ে করেন ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের গোয়ালিয়ারের বাসিন্দা এক তরুণীকে। তিনিই ওই যুবকের প্রথম স্ত্রী। এই দম্পতির একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।

বর্তমানে গুরুগাঁও শহরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন পাশপাশি দুই ফ্ল্যাটে মিলেমিশে দিন কাটাচ্ছেন দুই স্ত্রী এবং সপ্তাহ হিসেবে স্বামীকে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তারা। কেমন সেই বন্দোবস্ত?

করোনা মহামারির সময় স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে বাবার বাড়িতে রেখে আসেন ওই যুবক এবং তার কিছুদিনের মধ্যেই কর্মস্থলে এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তিনি ওই সহকর্মীকে বিয়ে করেন এবং ওই ঘরে তার একটি কন্যাসন্তানও জন্মায়। প্রথম স্ত্রীর কাছে এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণ গোপন করে গিয়েছিলেন তিনি।

তবে এক সময় প্রথম স্ত্রী ঘটনা জানতে পারেন এবং নিজের ও সন্তানের ভরণপোষণের অর্থ দাবি করে পারিবারিক আদালতে মামলাও করেন। তবে আদালতে এই মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এক পর্যায়ে সমঝোতার পথে হাঁটেন তিন জন। তারা সিদ্ধান্তে আসেন—দুই স্ত্রীকে নিয়েই সংসার করবেন যুবক। উভয়কে সমান সময় দেবেন।

কিন্তু এক্ষেত্রে প্রথমেই এসে পড়েছিল স্বামীর সময় ভাগাভাগির প্রশ্নটি। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে সপ্তাহের ছয় দিনকে দু-ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন তারা, অর্থাৎ যুবকের দুই স্ত্রী তিন দিন করে স্বামীকে কাছে পান। প্রথম তিন দিন বড় বউয়ের জন্য বরাদ্দ, পরের তিন দিন ছোট বউয়ের সঙ্গে সময় কাটান যুবক।

এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার পর থেকে আর কোনো গণ্ডগোল ঘটেনি বলে জানা গেছে। তবে এখানেই শেষ নয়। ৬ দিন স্ত্রীদের সঙ্গে সময় কাটানোর পর অবশিষ্ট রোববারটি নিজের জন্য রেখেছেন যুবক। ওইদিন বিশ্রাম নেন যুবক, নিজের মতো করে সময় কাটান।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT