সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার মিসাইল বৃষ্টি, অনেক হতাহতের শঙ্কা

প্রকাশিত : ০৮:৪২ পূর্বাহ্ণ, ১০ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার ১৬৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

Three Russian rockets launched against Ukraine from Russia's Belgorod region are seen at dawn in Kharkiv, Ukraine, late Thursday, March 9, 2023. (AP Photo/Vadim Belikov)

রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে কিনঝাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এয়ার-লঞ্চড (বিমান থেকে ছোড়া) ক্রুজ মিসাইল রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের এই হামলাকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। সেই সঙ্গে এসব হামলায় অনেক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর বরাত মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, দেশটির বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে রুশ বাহিনী ‘ভয়ংকর আক্রমণ’ চালিয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬টি কিনঝাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। রাশিয়ার কিনঝাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর ক্ষমতা নেই ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার।

ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স কমান্ডের মুখপাত্র ইউরি ইহানাত বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, আক্রমণটি সত্যিই ভয়ংকর। তাছাড়া সর্বশেষ হামলায় প্রথমবারের মতো এই ধরনের ভয়ানক মরণাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের জানা মতে, হামলায় ৬টির মতো কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এটি এমন একটি আক্রমণ, যা আমি আগে দেখেছি বলে আমার মনে পড়ছে না।

কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র প্রসঙ্গে ইউক্রেনের এই কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের এমন কোনো ব্যবস্থা নেই, যা দিয়ে এই অস্ত্রগুলো মোকাবেলা করা যাবে। হামলায় ৬টি এক্স-২২ এয়ার-লঞ্চড ক্রুজ মিসাইলও ব্যহার করা হয়েছে বলে দাবি করেন ইউরি ইহানাত।

অপরদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক বার্তায় বলেছেন, ‘এটি একটি ভয়ংকর রাত ছিল।’

তিনি বলেন, শত্রুরা আবারও তাদের ন্যাক্কারজনক কৌশল ব্যবহার করছে। ইউক্রেনীয়দের মধ্যে আবারও আতঙ্ক তৈরি করতে ৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দখলদাররা কেবল বেসামরিক মানুষকে আতঙ্কিত করতে পারে। কিন্তু এটা তাদের জন্য সুখকর হবে না। তারা যা করেছে, তার দায় এড়াতে পারবে না।

ফেসবুক বার্তায় ইউক্রেনের ১০টি অঞ্চলের তালিকাও উল্লেখ করেছেন জেলেনস্কি, যেসব অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এর মধ্যে রয়েছে দিনিপ্রো, ওডেসা, খারকিভ এবং জাপোরিঝিয়া। হামলায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং আবাসিক ভবনগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত এসব এলাকায় অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আমি তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT