সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী কে এই ‘গান্ধী’

প্রকাশিত : ০৫:৩০ অপরাহ্ণ, ৭ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার ১৩৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আগামী ১৪ মে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে গত ২০ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিকদারোগ্লু। তিনি দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) চেয়ারম্যান।

এবারের নির্বাচনে এরদোগানকে হটাতে সিএইচপির নেতৃত্বে ৬ দলীয় জোট গঠন করে বিরোধী পক্ষ। তবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ে একমত হতে না পারায় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয় আইপি পার্টি। বিরোধী জোটের বাকি দলগুলো সর্বসম্মতভাবে কিলিকদারোগ্লুকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিয়েছে।

৭৪ বছর বয়সি এই নেতা তুরস্কের ‘তুরস্কের গান্ধী’ নামে পরিচিত। তুরস্কের অনেকেই মনে করেন, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও অহিংস আন্দোলনের পুরোধা মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে কিলিকদারোগ্লুর সাদৃশ্য রয়েছে। সে কারণে মৃদুভাষী আচরণের জন্য অনেকে তাকে ‘তুরস্কের গান্ধী’ বলে অভিহিত করেন।

সিএইচপি একটি মধ্য-বামপন্থী দল। অর্থাৎ তুরস্কের প্রধান ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দল এটি। দলটি প্রতিষ্ঠা করেন আধুনিক তুরস্কের রূপকার মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক। ২০১০ সাল থেকে সিএইচপির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন কিলিকদারোগ্লু।

গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে কেন্দ্রীয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে সিএইচপি। সাম্প্রতিককালে দলের অনমনীয় অবস্থান বদল করেছেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিক। ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট করেছেন তিনি।

সেই সঙ্গে স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের পর্দা করার অধিকার সমর্থন করেছে দলটি। অথচ কামাল আতাতুর্কের সময় দলটি যখন ক্ষমতা ছিল, তখন তুরস্কে আজান পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে বর্তমান তুরস্কের সঙ্গে অনেকটা খাপ খাইয়ে নেওয়া চেষ্টা করছে সেক্যুলার সিএইচপি।

১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন কিলিকদারোগ্লু। রাজনীতিতে নাম লেখানোর আগে আমলা হিসেবে কাজ করেছেন অর্থনীতিবিদ। তিনি ২০০২ সালে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন।

প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণার পর কিলিকদারোগ্লু বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে ঐক্যের ভিত্তিতে এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করবেন। যদিও কিছু সহযোগীই তার ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT