রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন জোট

প্রকাশিত : ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, ২৫ জুন ২০২২ শনিবার ২২৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

চীনকে টেক্কা দিতে এবার প্রশান্ত মহাসাগরীয় (প্যাসিফিক) দ্বীপপুঞ্জ ঘিরে নতুন একটি জোটের অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রম করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

জোটটির প্রাথমিক নাম দেওয়া হয়েছে পার্টনারস ইন দ্য ব্ল– প্যাসিফিক (পিবিপি)। জোটের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্য প্যাসিফিক দ্বীপ দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কুটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করবে। এই অঞ্চলে চীনকে টেক্কা দিতেই যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

শুক্রবার (স্থানীয় সময়) হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জনগণকে উপকৃত করে এমন কার্যক্রমকে সমর্থন করার জন্য আমরা আমাদের সংকল্পে ঐক্যবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিকতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সর্বোপরি নেতৃত্বের নীতি অনুসারে অঞ্চলটির সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

হোয়াইট হাউজের ইন্দো-প্যাসিফিক সমন্বয়কারী কার্ট ক্যাম্পবেল আগের দিন বৃহস্পতিবার বলেন, তিনি আশা করেন, আরও উচ্চপর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তারা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলো সফর করবেন। কারণ ওয়াশিংটন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে চীনকে মোকাবেলা করার জন্য তার ব্যস্ততা বাড়াচ্ছে।

ক্যাম্পবেল বলছিলেন, এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও কূটনৈতিক সুবিধার প্রয়োজন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের দেশগুলোর সঙ্গে আরও যোগাযোগের প্রয়োজন। কারণ এই দেশগুলো কখনো কখনো উন্নত বিশ্বের কম মনোযোগ পায়। সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চায়।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সম্প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে সফর সম্পন্ন করেন। ওই সফরেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে, চীন এই অঞ্চলটি নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করে। বিশ্বের স্থবির অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে চীন বিশ্বশক্তির নেতৃত্বের দৌড়ে সমানতালে এগিয়ে যেতে চায়।

চীন ফিজির রাজধানী সুভাতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠকও আয়োজন করে।

বৈঠকে চীন জানায়, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে নীল অর্থনীতির বিকাশের জন্য যৌথভাবে একটি ‘সামুদ্রিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নে দ্বীপ দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে চায় বেইজিং। দ্বীপ দেশগুলোতে চীনা বিনিয়োগ ও সাইবারসিকিউরিটিসহ নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থারও প্রস্তাব করেছে বেইজিং।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT