রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামাসের ৯৫ ভাগ নেতাই নিহত

প্রকাশিত : ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ, ৮ জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার ৫২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে গাজার পরিস্থিতি। উপত্যকাটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসেরই এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

বিবিসিকে বলেছেন, গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন তারা। পুরো অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে গ্যাং ও নতুন সশস্ত্র গোত্রভিত্তিক গোষ্ঠীর আধিপত্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘আমাদের নেতৃত্বের ৯৫ শতাংশ নেতা নিহত হয়েছেন। সক্রিয় নেতারা কেউ বেঁচে নেই।’ এছাড়া পুরো অঞ্চলজুড়ে গ্যাং ও সশস্ত্র গোত্রভিত্তিক গোষ্ঠীর আধিপত্য ছড়িয়ে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরাইলের টানা বিমান হামলায় হামাসের রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা কাঠামো প্রায় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। নিরাপত্তা কাঠামো বলতে কিছুই আর নেই।

তিনি জানিয়েছেন, হামাসের সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা ভবন ‘আনসার কমপ্লেক্স’, যেখান থেকে তারা গোটা গাজা শাসন করত সেটিও লুট হয়ে গেছে। অফিসের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, এমনকি খাট-গদিও লুট করেছে। উপত্যকাজুড়ে বিশৃঙ্খলার মধ্যেই গাজায় ছয়টি নতুন সশস্ত্রগোষ্ঠী গড়ে উঠেছে।

দক্ষিণ গাজায় এদের প্রভাব বাড়ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এসব গোষ্ঠীর একটির নেতৃত্বে আছেন ইয়াসির আবু শাবাব। যিনি এখন হামাসের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

এদিকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। রোববারের হামলায় আরও অন্তত ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজা শহরেই নিহত হয়েছেন ৩৯ জন। এর একদিন আগে শনিবার গাজাজুড়ে ৭৮ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।

গাজায় অব্যাহতভাবে চলা হামলায় পুরো উপত্যকা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে আরও আগেই। সেখানে এখন খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পুরো উপত্যকায় নেমে আসছে মানবিক বিপর্যয়।

এর মধ্যে ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে খাবার নিতে গিয়ে ইসরাইলি হামলার মুখে পড়ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সোমবার খাবার আনতে গিয়ে নতুন করে ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় ইসলাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৫২৩ জন নিহত ও এক লাখ ৩৬ হাজার ৬১৭ জন আহত হয়েছেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT