রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীর পদ ছাড়লেন রুশনারা আলী

প্রকাশিত : ০৭:৩২ পূর্বাহ্ণ, ৮ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার ২৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী যুক্তরাজ্যের গৃহহীনবিষয়ক মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। পূর্ব লন্ডনে নিজের মালিকানাধীন একটি টাউনহাউস থেকে ভাড়াটেদের উচ্ছেদ করে ভাড়া একলাফে ৭০০ পাউন্ড বাড়ানোর ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ার পর তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিট তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে। খবর বিবিসির।

রুশনারা আলী যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি। ২০১০ সাল থেকে টানা টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন ও স্টেপনি আসন থেকে নির্বাচিত হচ্ছেন তিনি। গত বছরের নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হয়ে পঞ্চমবারের মতো জয়ী হন। এরপর লেবার পার্টি সরকার গঠনের পর তাকে গৃহায়ণ, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি বা ‘হোমলেসনেস মিনিস্টার’ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এটি ছিল তার প্রথম কোনো মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব।

এই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে তার মালিকানাধীন বো এলাকার একটি বাড়িতে চারজন ভাড়াটে ৩ হাজার ৩০০ পাউন্ড মাসিক ভাড়ায় বসবাস করছিলেন। চুক্তির মেয়াদ শেষে গত নভেম্বর মাসে চার মাসের নোটিশ দিয়ে তাদের বাড়ি ছাড়তে বলা হয়। পরে ওই বাড়িটি পুনরায় ৪ হাজার পাউন্ড ভাড়ায় বাজারে তোলা হয়। গৃহহীনদের সুরক্ষা ও ভাড়াটে অধিকার রক্ষার দায়িত্বে থাকা একজন মন্ত্রীর পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ জনমনে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

পদত্যাগপত্রে রুশনারা লিখেছেন, “সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী কাজের পথে আমার অবস্থান যেন বিভ্রান্তির কারণ না হয়, সে জন্য আমি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।” অথচ সাম্প্রতিক সময়ে তিনিই বেসরকারি বাড়িওয়ালাদের ভাড়াটে শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং ‘অযৌক্তিক ভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জনগণকে ক্ষমতাবান’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

ভাড়াটেদের একজন লরা জ্যাকসন স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেন, “এটা একপ্রকার চরম শোষণ। এত ভাড়া আদায় করার চেষ্টা রীতিমতো হাস্যকর।” রুশনারা অবশ্য দাবি করেছেন, ভাড়াটেরা চুক্তির পূর্ণ মেয়াদ বসবাস করেছেন এবং চাইলে থাকতে পারতেন, তবে তারা নিজেরাই চলে যান।

তবে ভাড়াটে অধিকার সংগঠন অ্যাকর্ন ও রেন্টার্স রিফর্ম কোয়ালিশন তার পদত্যাগ দাবি করে। অ্যাকর্নের কর্মকর্তা অ্যানি কুলাম বলেন, “তার কর্মকাণ্ড রেন্টার্স রাইটস বিলের উদ্দেশ্যের পরিপূর্ণ বিরোধী।” উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে রুশনারা নিজেই ওই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, যেখানে বলা হয়—কোনো মালিক ভাড়াটেকে উচ্ছেদ করার পর ছয় মাসের মধ্যে সেই বাড়ি বেশি দামে ভাড়া দিতে পারবেন না।

বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির শ্যাডো হাউজিং সেক্রেটারি জেমস ক্লেভারলি এ ঘটনাকে “চরম ভণ্ডামির উদাহরণ” আখ্যা দিয়ে বলেন, “এমন একজনকে গৃহহীনবিষয়ক দায়িত্বে রাখা যায় না।” গ্রিন পার্টিও সমালোচনা করে জানায়, এ ঘটনা প্রমাণ করেছে ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও দোষ ছাড়া উচ্ছেদ নিষিদ্ধ করার মতো কঠোর আইন প্রয়োজন।

সিলেটে জন্ম নেওয়া রুশনারা আলী মাত্র সাত বছর বয়সে পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে চলে আসেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জনস কলেজ থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT