রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সন্তান কোলে নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে ভাষণ দিলেন নারী সিনেটর

প্রকাশিত : ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ৩০ জুলাই ২০২৫ বুধবার ৩১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সন্তানের বয়স মাত্র কয়েক মাস। এই সময়ে মা ছাড়া থাকতে পারে না শিশুরা। তাই সন্তানকে কোলে নিয়েই পার্লামেন্টে প্রথম ভাষণ দিলেন অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের সিনেটর করিন মুলহল্যান্ড।

তিনি যখন সন্তানকে নিয়ে কোলে ভাষণ দিচ্ছেন, তখন সুর করে কথা বলার চেষ্টা করেছে তার ছোট্ট ছেলেও। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

করিন মুলহল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্য থেকে সদ্য নির্বাচিত লেবার পার্টির সিনেটর। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সন্তানকে কোলে নিয়ে পার্লামেন্টে বক্তব্য দিচ্ছেন করিন। কোলে ছটফট করছে সন্তান। পার্লামেন্টের এক সদস্য আবার সেই বাচ্চাটিকে শান্ত রাখার জন্য হাসিমুখে নানা অঙ্গভঙ্গি করছেন পেছন থেকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনাটি অস্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ডের পার্লামেন্টে ঘটেছে।

করিনের বক্তব্যে তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি মা-বাবার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। বলেন, আমার সন্তান এখানে কোনো প্রতীক হিসেবে নয় বরং এটি একটি শক্তিশালী স্মারক। আমি কেন এখানে আছি, তারই প্রতিফলন আমার সন্তান। আমি একজন স্ত্রী, একজন মা, কুইন্সল্যান্ডের প্রান্তিক শহরতলীর একজন নাগরিক।

তিনি বলেন, মা-বাবারা কেবল তত্ত্বগতভাবে নয়, বাস্তব জীবনেও এই সংসদীয় চেম্বারে থাকার অধিকার রাখে। শিশু লালন-পালনের সংগ্রাম, দায়িত্ববোধ ও তার মাঝেই থাকা এক ধরণের ‘টান’ ও মাতৃত্বের বিশালত্বসহ সব অভিজ্ঞতা কাজে লাগে।

তিনি বলেন, অনেক কর্মজীবী মা-বাবার মতো আমাকেও কাজ ও দায়িত্বের ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়েছে। বহু বছরের সংগ্রামের পর আজকের অনেক সংসদ সদস্য আমাদের জন্য পথ তৈরি করেছেন। এখন সময় এসেছে সংসদের বাইরের কর্মজীবীদের জন্যও একই ধরনের আধুনিক ও নমনীয় কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার।

ভাষণে মুলহল্যান্ড প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি কর্মজীবী পরিবারগুলোর জীবনকে কিছুটা হলেও সহজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বলেন, আমি চাই পরিবারগুলো যেন কখন, কোথায় এবং কীভাবে তারা কাজ করবে সে বিষয়ে বাস্তব ও কার্যকর পছন্দ এবং নমনীয়তা পায়।

সবশেষে, মা ও ছেলে দুজনেই ভাষণটি নির্বিঘ্নে শেষ করতে সক্ষম হন, যদিও ভাষণের শেষভাগে করিন মুলহল্যান্ডের কাছ থেকে সংসদের অন্য সদস্যরা ওই শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করেন।

সূত্র: উইওন

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT