বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজপথে নামতে যাচ্ছে এশিয়ার আরেক দেশের মানুষ

প্রকাশিত : ০৮:০০ পূর্বাহ্ণ, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রবিবার ৩০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ভয়াবহ দুর্নীতির কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর ফিলিপাইনে জনরোষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। দুর্নীতির দায়ীদের বিচারের দাবিতে আগামীকাল রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ম্যানিলা থেকে শুরু করে দেশব্যাপী রাজপথে নামতে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।

ফিলিপাইন এমনিতেই প্রায় সময় সামুদ্রিক ঝড় ও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে। এতে অসংখ্য মানুষ দুর্দশায় দিন কাটান। অথচ জানা গেছে, এই দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য নেওয়া বিশাল বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। অনেক জায়গায় বাঁধ নির্মাণের নামে টাকা তোলা হলেও বাস্তবে সেসব বাঁধের অস্তিত্বই নেই। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম গামানেটওয়ার্ক জানিয়েছে, রোববার রাজধানী ম্যানিলায় দুটি বড় বিক্ষোভ কর্মসূচি হতে যাচ্ছে। সকাল ৯টায় রিজাল পার্ক থেকে শুরু হবে প্রথম কর্মসূচি, যার শিরোনাম ‘বন্যা মোকাবিলায় পদক্ষেপ : দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন’। এতে অংশ নেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, নাগরিক সংগঠন ও বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ।

এরপর দুপুর ২টায় ইডিএসএ পিপল পাওয়ার মনুমেন্টে শুরু হবে দ্বিতীয় বিশাল সমাবেশ। এতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। নেতৃত্ব দেবেন খ্রিস্টান ও মুসলিম ধর্মীয় নেতারা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হবে নাগরিক সমাজ, তরুণ সংগঠন ও সাধারণ মানুষ।

শুধু তাই নয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে-সমর্থিত দল ‘হাকবাং এনজি মাইসুগ’ দুপুর ১টায় লিওয়াসাং বোনিফাসিওতে ‘সেভ দ্য ফিলিপাইনস’ নামে একটি সমাবেশ করবে। অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারাও সকালের দিকেই ক্যাম্প আগুইনাল্ডোর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

রাজধানীর বাইরে অন্যান্য বড় শহরেও বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। দাভাও সিটির রিজাল পার্কে বিকেল ৩টা থেকে দুতের্তে সমর্থকদের মিছিল হবে। একইভাবে সেবু সিটির প্লাজা ইন্ডেপেন্ডেন্সিয়া এবং ইলোইলো সিটির জারো প্লাজাতেও বড় বিক্ষোভ আয়োজন করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে ফিলিপাইন সরকার দেশজুড়ে প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছে। যদিও সরকারের দাবি, এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের হুমকির খবর পাওয়া যায়নি। তবুও যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

এর পাশাপাশি, বিক্ষোভস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটির সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত রিজাল পার্ক ও ইডিএসএ শ্রাইনের ১৫ নটিক্যাল মাইল এলাকায় সব ধরনের ড্রোন ও উড়োজাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT