বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই চীন সফরের ঘোষণা মোদির, আসবেন পুতিনও

প্রকাশিত : ০৫:৫২ পূর্বাহ্ণ, ৭ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার ৫০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘ ৬ বছর পর চীন সফরে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই তার চীন সফরের ঘোষণাটি এলো। যে সময়ে মোদি বেইজিংয়ে অবস্থান করবেন, ঠিক একই সময়ে চীন সফরে যাবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ যেন আগুনে ঘি ঢাললেন মোদি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের তিয়ানজিনে ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর তারিখে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মোদি এই সম্মেলনের উদ্দেশ্যেই চীন সফরে যাবেন।

নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালে হিমালয় অঞ্চলে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর এই প্রথম চীন সফরে যাচ্ছেন। তিনি সর্বশেষ চীন সফরে গিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। তার এই সফর নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক একপ্রকার তলানিতে ঠেকার পর হয়তো চীনের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত জরুরি বলে মনে করছে দিল্লি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বের তিন ক্ষমতাধর দেশ চীন, রাশিয়া ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শীতল হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে চীনে এই তিন দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়তো নতুন কোনো দিশা দেখাতে পারে।

সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলা ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে ইসলামাবাদের প্রতি চীনের প্রকাশ্য সমর্থন দেখা গেছে। তারপরও চীনে এসসিওর আঞ্চলিক সম্মেলনে ভারতের এই অংশগ্রহণকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে।

ধারণা করা হচ্ছে, এসসিওভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ এবং বাণিজ্য ইস্যু উঠে আসবে। ভারত-চীন সম্পর্ক পুনরায় স্থিতিশীল ও সংলাপমুখী করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। সম্মেলনের ফাঁকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে অপ্রাতিষ্ঠানিক বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সাক্ষাৎ করেছিলেন। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে নতুন করে উদ্যোগ জোরদার হয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT