সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাজ্যে এক মাসে গ্রেপ্তার ৬ শতাধিক অবৈধ অভিবাসী কর্মী

প্রকাশিত : ১০:২০ পূর্বাহ্ণ, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার ৫৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

গত জানুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যে ৬০৯ জন নথিবিহীন অভিবাসী কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। এই সংখ্যা ২০২৪ সালের জানুয়ারির তুলনায় শতকরা হিসেবে ৭৩ শতাংশ বেশি, সে বছরের জানুয়ারিতে ৩২৫ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল যুক্তরাজ্যে।
সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

রাজধানী লন্ডনসহ বিভিন্ন শহরের ৮ শতাধিক পানশালা, রেস্তোরাঁ, গ্যারেজ ও ডিপার্টমেন্ট স্টোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের। ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির সরকার নথিবিহীন অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং যেসব অপরাধী গ্যাং তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে, সেগুলোকে নির্মূলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবেই চালানো হয়েছে এ অভিযান।

কেয়ার স্টারমারের পূর্বসূরী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সময়ও যুক্তরাজ্যের নথিবিহীন অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে রুয়ান্ডা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার নেতৃত্বাধীন সরকার। রুয়ান্ডার সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তিও করা হয়েছিল।

তবে গত বছর ক্ষমতায় আসার পর সেই চুক্তি বাতিল করেন স্টারমার এবং ঘোষণা করেন, অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে কঠোর অভিযান চলমান থাকবে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, “নিয়োগকর্তারা অনেক দিন ধরে অবৈধ অভিবাসীদের শোষণ করছেন এবং নিয়মিত দেশে প্রচুর সংখ্যক অভিবাসপ্রত্যাশীর আগমণ ঘটছে এবং এ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে সেইভাবে আইনানুগ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।”

“বিগত সরকারের আমলে আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল, যার সুযোগ নিয়ে মাথাচাড় দিয়ে উঠেছিল মানবপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধী গ্যাংগুলো। এই অপরাধী গ্যাংগুলোকে নির্মূল করতে আমরা লাগাতার কঠোর অভিযান শুরু করেছি এবং সীমান্ত নিরাপত্তা আইনেও সংশোধন আনছি।”

প্রসঙ্গত, ইউরোপ মহাদেশভুক্ত দেশ হলেও মহাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরাসরি যুক্ত নয়। ইউরোপের মূল ভূখণ্ডস্থিত দেশ ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যকে পৃথক করেছে ইংলিশ চ্যানেল নামের ছোট ও সংকীর্ণ একটি সাগর।এই সাগরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার ও প্রস্থ স্থানভেদে সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩৪ কিলোমিটার।

বিশ্বের অন্যান্য সাগরের তুলনায় আকার-আয়তনে ছোট হলেও যাতায়াতের পথ হিসেবে বেশ বিপজ্জনক ইংলিশ চ্যানেল। ভৌগলিক কারণেই শীতল পানির এই সাগরে বছরের অধিকাংশ সময়ে বিরূপ আবহাওয়া থাকে।

তবে এই সাগরটি বিশ্বের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক জলপথগুলোরও একটি। আবার অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীরাও এই সাগরপথ দিয়েই প্রবেশ করেন যুক্তরাজ্যে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT